Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চোঙার দাপটে অতিষ্ঠ বনগাঁ

শহরবাসীর ক্ষোভ, চোঙার কান ফাটানো আওয়াজে যানবাহনের হর্ন, ফোনের রিংটোন শোনা যায় না। কেউ বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারেন না। সন্ধ্যার পরে চায়ের ঠেকে দোকানের আড্ডা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে থাকা প্রবীণ মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

বিদ্যুৎ থেকে টেলিফোনের খুঁটি— কিছুই বাদ নেই। সবেতেই বাঁধা রয়েছে দু’তিনটি করে চোঙা। কোনও আবার তারও বেশি চোঙা বাঁধা থাকে। সে সব থেকে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জোরে ভেসে আসে গান, নানা প্রচার। অথচ পুলিশ-প্রশাসন চুপ। এমনটাই অভিযোগ বনগাঁ শহরবাসীর।

শহরবাসীর ক্ষোভ, চোঙার কান ফাটানো আওয়াজে যানবাহনের হর্ন, ফোনের রিংটোন শোনা যায় না। কেউ বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারেন না। সন্ধ্যার পরে চায়ের ঠেকে দোকানের আড্ডা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে থাকা প্রবীণ মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দরজা-জানলা বন্ধ করে থাকতে হচ্ছে। পড়ুয়াদেরও সমস্যা হচ্ছে। অনুমতি নিয়েই হোক বা না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই চোঙার তাণ্ডব। এক একটি অনুষ্ঠানের জন্য কার্যত শহর মুড়ে ফেলা হচ্ছে চোঙায়। তার মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান আছে। আছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রচার। অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে থেকে প্রচার শুরু হয় মাইকে। পুলিশ-প্রশাসন শুনেও শোনে না, দেখেও দেখে না বলে অভিযোগ।

এলাকার এক সাহিত্যিকের কথায়, ‘‘সংস্কৃতির শহর বনগাঁ। কিন্তু চোঙার তাণ্ডব সেই সংস্কৃতিতে আঘাত করছে।’’ শহরের বাসিন্দা তথা পরিবেশকর্মী দেবাশিস রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে এখানে যথেচ্ছ ভাবে মাইক বাজানো হচ্ছে। অনুমতি নিয়ে মাইক বাজালে সমস্যা অনেকটা কমে। কিন্তু যেটা কে দেখবে?’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও অনুষ্ঠান করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি হয় তো ১০টি চোঙার থাকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার থেকে অনেক বেশি চোঙা বাঁধা হচ্ছে।

পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘শব্দ দূষণ বন্ধ করা পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্ব। তারা ব্যবস্থা নিলে পুরসভার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’’ সমস্যার কথা শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের এক কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE