সদ্যোজাত জীবিত শিশুকন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ওই এলাকায় বাইসহাটা গ্রামের বছর তিরিশের ফতেমা মোল্লা প্রসব বেদনা নিয়ে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। বেলা ২টো নাগাদ ভর্তির কিছু ক্ষণ পরেই সন্তান প্রসব করানোর জন্য তাঁকে অস্ত্রোপচার টেবিলে তোলা হয়। সে সময়ে একটি শিশুকন্যার জন্ম দেন তিনি। সাত মাসের গর্ভবতী ওই মহিলার শিশুর ওজন ছিল মাত্র সাড়ে ৭০০ গ্রাম। শিশুটি জন্মানোর পরে কান্নাকাটি করেনি। এমনকী, নড়াচড়াও ছিল না। সেই অবস্থায় ঘণ্টা তিনেক ধরে শিশুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা চালানোর পরে কোনও উন্নতির লক্ষণ না দেখে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, শিশুটি জীবিত নেই।
বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ শিশুকন্যার বাবা নার্সিংহোমের প্যাডে নিজের মৃত শিশুকে নিয়ে যাওয়ার কথা লিখিত ভাবে জানান। সেই মতো, বাজার থেকে নাইলনের ব্যাগ কিনে এনে শিশুটিকে পলিথিনে জড়িয়ে ব্যাগের নেওয়া হয়।
বাড়ি ফিরতে সময় লেগেছিল ঘণ্টা খানেক। শিশুকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। আচমকাই পরিবারের লোকজন দেখতে পান, শিশুটি নড়ছে। আর দেরি না করে সোজা ওই নার্সিংহোমেই নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে ভর্তি নিতে চাননি। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ বারাসতের একটি নার্সিংহোমে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
শিশুর বাবা পেশায় দর্জি ফরুদ্দিন মোল্লা জানান, মেয়ের মা এখনও ওই জয়নগরের নার্সিংহোমেই ভর্তি। পুলিশের কাছে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কেন এমন হল?
জয়নগরের ওই নার্সিংহোমের আধিকারিক হরিসাধন নস্কর বলেন, ‘‘শিশুটি জন্মানোর পরে কোনও কান্নাকাটি করেনি। এমনকী, বেঁচে আছে এমন লক্ষণও পাওয়া যায়নি। তবে জন্মানোর পরে অনেক সময় ধরে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপরেও কোনও উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎকক তাকে মৃত বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy