বিক্ষোভ: রবিবার স্বরূপনগরে
তৃণমূল নেতাদের আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠল সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে রবিবার দোকান-বাজার বন্ধ করে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্বরূপনগরের বিথারি-হাকিমপুর পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী গ্রামে জন্মাষ্টমীর নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সত্যজিত বিশ্বাস এবং তৃণমূল নেতা পিন্টু কুণ্ডু। তাঁরা স্থানীয় বিএসএফের চেক পোস্টে থাকা জওয়ানদের বলে যান বলে দাবি করেছেন। কিন্তু রাতে অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময়ে হাকিমপুর সীমান্তে তাঁদের আটকান জওয়ানেরা। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বাধে। নিজেদের পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও জওয়ানেরা ওই দু’জনকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে মারধর করে বলে অভিযোগ।
এ দিন সকালে ওই ঘটনার কথা জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাকিমপুর–বিথারির বহু মানুষ। তাঁরা পোস্টার-ব্যানার হাতে স্থানীয় বাজারের দোকানপাট বন্ধ রেখে সীমান্ত রাস্তার উপরে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন। সে সময়ে বিএসএফের জওয়ানেরা এসে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। তাতে ক্ষোভ বাড়ে। শুরু হয় উভয়পক্ষের বচসা। স্থানীয় বিডিও বিপ্লব বিশ্বাস, এসডিপিও এবং ওসি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাকিমপুর সীমান্তে বিএসএফের জওয়ানেরা প্রায়ই স্থানীয় বাসিন্দাদের হয়রান করেন। সত্যজিৎ ও পিন্টু কেও হেনস্থা করা হয়েছে। বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ সদস্যদের। প্রধান লিমা গাজি বলেন, ‘‘এলাকার ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও বিএসএফ কোনও মালপত্র নিতে দিচ্ছে না। তল্লাশির নামে মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে। হাকিমপুর বাসস্ট্যান্ডে থাকা চেক পোস্ট তুলে দিতে হবে।’’
পুলিশ, প্রশাসন-সহ বিএসএফ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের এক আলোচনার মাধ্যমে অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy