Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Hemnagar

ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ধৃত ১

পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের কথা মানলেও গণধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে মুখ খুলতে চায়নি।

প্রতিবাদী: হেমনগরে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। ছবি: নবেন্দু ঘোষ।

প্রতিবাদী: হেমনগরে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। ছবি: নবেন্দু ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
হেমনগর শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৮
Share: Save:

ফোনই দিল সূত্র। যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হল রাজনৈতিক বিবাদও।

বুধবার হেমনগর থানা এলাকার একটি মাঠে খড় ঢাকা দেওয়া এক যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, দেহের পাশ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, যুবতীর কোনও ফোন ছিল না। উদ্ধার হওয়া ফোনের সূত্র ধরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার নবকুমার মণ্ডল নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃতের বাড়ি হেমনগর থানা এলাকাতেই। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নবকুমারের। তবে শুক্রবার মৃতের দাদা বলেন, ‘‘আমার বোনের সঙ্গে কারও কোনও দিন সম্পর্ক ছিল বলে শুনিনি। এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। ওই যুবক একা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে বিশ্বাস হয় না। পুলিশ ভাল করে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে, আরও কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।” পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের কথা মানলেও গণধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে মুখ খুলতে চায়নি।

ধৃত যুবককে এ দিন বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। এ দিন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল করে থানায় পৌঁছন। সেখানে স্মারকলিপি জমা দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি করে অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, “পুলিশকে বলেছি, আসল দোষীদের যেন আড়াল করা না হয়। সাত দিন সময় দিয়েছি, যদি তার মধ্যে আসল দোষীদের ধরা না হয় তবে ১৫ জানুয়ারি বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”

অগ্নিমিত্রা ফিরে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় যোগেশগঞ্জ বাজারে পথসভা করছিল বিজেপি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সুর চড়াচ্ছিলেন গেরুয়া নেতারা। অভিযোগ, সভা চলাকালীন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে চড়াও হয়। বিজেপির স্থানীয় নেতা অমল মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘সভা চলাকালীন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের কয়েকজনকে মারধর করে। চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা প্রবীর হালদার বলেন, “বিজেপি উল্টোপাল্টা বলছিল। যা শুনে বিজেপিরই কিছু কর্মী সমর্থক ওঁদের নেতাদের উপর চড়াও হয়। এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়।”

এই ঘটনার পর বাজারের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hemnagar arrest Rape Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE