পরীক্ষা চলছে। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েতের নিয়ম-কানুন ও পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরীক্ষার আয়োজন হল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে। হাবড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সেই সংগঠনই পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর পরীক্ষা হচ্ছে। জাকির জানান, পঞ্চায়েত স্তরে দীর্ঘ দিন সক্রিয় রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর মনে হয়েছে, পঞ্চায়েতের আইন-কানুন সম্পর্কে গ্রামের মানুষ যথেষ্ট সচেতন নন। পঞ্চায়েত থেকে কী ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা মেলে, তা-ও অনেকে জানেন না। ফলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হন। জবকার্ডে ১০০ দিন প্রকল্পে কাজ করার পরে কত দিনের মধ্যে টাকা পাওয়া যায়, রেশন কার্ডের আবেদন করার কত দিনের মধ্যে কার্ড মেলে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা পেতে ন্যূনতম কত বয়স হতে হয়— এ সবই এ বারের প্রশ্নপত্রে ছিল। ১০০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে।
শনিবার সকালে হাবড়ার আটুলিয়া নেতাজি আর্দশ বিদ্যাপীঠ স্কুলে রীতিমতো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ঢোকেন পরীক্ষার্থীরা। কেন্দ্রে নজরদারিও ছিল। পঞ্চায়েত আইন নিয়ে অভিজ্ঞ মানুষ জন খাতা দেখেছেন। ৩৪১ জন পরীক্ষায় বসেছিলেন। ৫৭ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন চিরঞ্জিত বসু। প্রথম ১০ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘‘এর ফলে মানুষ পঞ্চায়েতের আইন-কানুন ও অধিকার সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হতে পারবেন। তবে প্রশাসনিক স্তরেও মানুষকে সচেতন করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy