আমপানে ভেঙেছে বাড়ি। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
আমপানের পর কেটে গিয়েছে কয়েকটা মাস। এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা অনেকে পাননি বলে অভিযোগ। ঘর না সারাতে পেরে সমস্যায় পড়েছেন মানুষ।
আমপানের পর ঘর ভেঙেছিল দেগঙ্গার ঝিকরা হাদিপুরের বাসিন্দা কলিমুল্লার। বাধ্য হয়ে চার শিশুকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক মাদ্রাসায়। কিন্তু দিন কয়েক পর ওই মাদ্রাসা শুরু হওয়ার কথা। তাই তাঁদের চলে যেতে বলা হয়েছে। বাড়ি-ঘর নেই। এই অবস্থায় শিশুদের নিয়ে কোথায় যাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় ওই দম্পতি। ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমপানে কলিমুল্লার টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরের উপর ভেঙে পড়েছিল গাছ। চাপা পড়েছিল চার শিশু-সহ গোটা পরিবার। প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন স্থানীয় ওই মাদ্রাসায়। কলিমুল্লা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ফল বিক্রি করেন। করোনা আবহে তাঁর এই ব্যবসা প্রায় না চলার মতো। তিনি বলেন, ‘‘হাতে টাকা নেই। এখনও ক্ষতিপূরণের টাকাও মেলেনি। ঘর ঠিক করার মতো ক্ষমতা নেই। এই অবস্থায় পরিবার নিয়ে কোথায় যাব জানি না।’’ কলিমুল্লার স্ত্রী রেহেনা বিবি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে ব্লক দফতরে ঘর ভাঙার টাকার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। পুলিশ পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল। ওই টাকায় বাঁশের উপর টিনের ছাউনি দিয়েছি। কিন্তু চারদিক ঘিরতে পারেনি। এই অবস্থায় ওই বাড়িতে গিয়ে থাকব কী করে।’’ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সামসুদ্দোহা বলেন, ‘‘মিড ডে মিলের ঘরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল পরিবারটিকে। কিন্তু মাদ্রাসা শুরু হলে তো ঘর ছাড়তেই হবে। তাই আগে থেকে অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’’
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিন্টু সাহাজি বলেন, ‘‘তিন দফায় আমপানের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কলিমুল্লা টাকা না পেয়ে থাকলে আমাদের জানাক। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy