ধৃত: শান্তনু পাল
বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে অস্ত্র এনে মুম্বইয়ে অপরাধ জগতের কাছে বিক্রি করত সে। ২০১৫ সালে মুম্বইয়ের নালাসুপা স্টেশনে এক গ্যাংস্টারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে অন্য পক্ষের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। আহত হন কয়েক জন যাত্রী। ধরা পড়ে বসিরহাটের ধলতিথার বাসিন্দা অস্ত্র কারবারি শান্তনু পাল। পরে মুম্বই পুলিশের গাড়ি থেকে পালায় সে। চোরাপথে বসিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার সময়ে ফের ধরা পড়েছে ওই যুবক।
তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে বৃহস্পতিবার মুম্বই অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের জুহু ইউনিটের পুলিশ আসে বসিরহাটে। শান্তনুকে এ দিন তোলা হয়েছিল বসিরহাট এসিজেএম আদালতে। বিচারকের নির্দেশে তাকে ট্র্যানজিট রিম্যান্ডে নিয়ে রওনা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধলতিথার বাসিন্দা বছর পঁচিশের শান্তনু স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল। পরে চলে যায় বাংলাদেশে। সেখানেই অপরাধ জগতে হাতেখড়ি। চোরাপথে অস্ত্রের কারবার শুরু
করে সে।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সাল নাগাদ প্যারোলে পুলিশের সঙ্গে যাওয়ার সময়ে গাড়ি থেকে পালিয়েছিল শান্তনু। এই ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হন। শান্তনু মুম্বই থেকে পালিয়ে আমডাঙা থানার আদহাটায় আসে। পরে আবালসিদ্ধি যায়। মুম্বই পুলিশ নজর রাখছিল তার উপরে। শান্তনু চলে আসে বসিরহাটে। লরিতে ইট তোলার কাজ নেয়।
মুম্বই পুলিশের হাত থেকে মামলা তত দিনে এসেছে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের হাতে। তারা অভিযানে আসছে বলে কোনও ভাবে জানতে পারে শান্তনু। বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিশ ঘোজাডাঙায় জাল পাতে। বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy