অভিজিৎ দাস।
শনিবারই তাঁর বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি।
শনিবার রাতে অশোকনগর থানার কল্যাণগড় এলাকা থেকে অভিজিৎ দাস নামে ওই তরুণীর স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণগড়ের ভৈরবতলায়। পিয়ালী দাস নামে ওই তরুণীর বাবা তপন দে থানায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই অভিজিৎকে ধরা হয়েছে। শ্বশুর শ্রীদাম ও শাশুড়ি কৃষ্ণা দাস পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ পিয়ালী কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। তরুণীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছে।
পিয়ালীর বাপের বাড়ির লোকের দাবি, অভিজিতের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি পিয়ালীর সঙ্গে তার বিবাদ চলছিল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বারো বছর আগে নদিয়ার রানাঘাটের পিয়ালীর সঙ্গে বিয়ে হয় অভিজিতের। তাঁদের দশ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দুই ভাই বোনের মধ্যে পিয়ালী বড়। বাবা তপন ফলের ব্যবসা করেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পিয়ালীর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
থানায় করা লিখিত অভিযোগে তপন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ মাকে ফোন করে পিয়ালী জানিয়েছিলেন, রোজ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করছে। মেয়ে আর সহ্য করতে পারছিল না। তপন বলেন, ‘‘শনিবারই মেয়ে আমাদের কাছে চলে আসবে বলে জানিয়েছিল। মেয়ে যখন ফোনে আমাদের সঙ্গে কথা বলছিল তখন জামাই তার ফোনটি কেড়ে নেয়। আমরা তারপর ফোন করেও আর মেয়েকে ফোনে পাইনি।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ অভিজিৎ ফোন করে পিয়ালীর বাড়ির লোকজনকে জানায়, পিয়ালী গায়ে আগুন দিয়েছে। তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তপন বলেন, ‘‘মেয়ে নিজে গায়ে আগুন দিতে পারে না। শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy