Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
দক্ষিণ ২৪ পরগনা

স্কুল ক্রীড়া এগিয়ে আসায় বঞ্চিত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

এক লাফে আট মাস এগিয়ে এল জেলা বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। আর তার জেরে এই অ্যাথলেটিক্স মিটে যোগ দিতে পারল না দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু কৃতী খেলোয়াড়। ফলে রাজ্য ও জাতীয় মিটে যোগদানের সুযোগ হারাল তারা। জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদের কর্তাদের দাবি, জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতা এগিয়ে আসাতেই তাঁদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে। আগামী মরসুম থেকে এই সমস্যা আর হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩১
Share: Save:

এক লাফে আট মাস এগিয়ে এল জেলা বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। আর তার জেরে এই অ্যাথলেটিক্স মিটে যোগ দিতে পারল না দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বেশ কিছু কৃতী খেলোয়াড়। ফলে রাজ্য ও জাতীয় মিটে যোগদানের সুযোগ হারাল তারা। জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদের কর্তাদের দাবি, জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতা এগিয়ে আসাতেই তাঁদের এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে। আগামী মরসুম থেকে এই সমস্যা আর হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

জেলায় স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু এ বার তা হল এপ্রিলের কড়া রোদে। ১৫-১৬ এপ্রিল বজবজে হয়ে গেল এই প্রতিযোগিতা। যে সব ছাত্রছাত্রী এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে, তারা এই প্রতিযোগিতায় যোগদান করতে পারেনি। কেন না, মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী এই মুহূর্তে তারা কোনও ক্লাসের পড়ুয়া নয়। ‘আউটগোয়িং’ ছাত্র-ছাত্রী। ডিসেম্বর মাসে খেলা হলে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া হিসেবে এরা যোগদান করতে পারত। জেলা বিদ্যালয় পর্ষদের কার্যনির্বাহী সহ সভাপতি সন্দীপ কামারের বক্তব্য, ‘‘এ বার রাজ্য মিট হবে সেপ্টেম্বর মাসে। তার পরের মাসে জাতীয় মিট। সে কারণেই খেলা এগিয়ে আনতে হল।’’ তিনি বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার কারণে খেলা করা যায়নি। আর জুলাই-অগস্টে অর্থাৎ বর্ষায় খেলা করা ঝুঁকি হয়ে যেত। ফলে এপ্রিলেই করা হল।’’ পর্ষদের কর্তারা জানান, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা মিট হবে।

কোচ এবং ক্রীড়া শিক্ষকরা অবশ্য পর্ষদ কর্তাদের সঙ্গে সহমত নন। ডায়মন্ড হারবার রায়নগর ক্ষেত্রনাথ সুনীলবরণ পৌর বিদ্যালয়ের খেলার শিক্ষক চন্দন রায়ের কথায়, ‘‘জাতীয় স্তরের খেলা মাত্র এক-দেড় মাস এগিয়ে এসেছে বলে জেলার মিট ৮ মাস এগিয়ে নিয়ে আসার মানে হয় না। যাঁরা যোগ দিতে পারল না, তাদের এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। তাদের অনেকেই হয় তো বয়সের কারণে আর সুযোগ না-ও পেতে পারে।’’

শিক্ষক ও পড়ুয়াদের বক্তব্য, মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর জুন-জুলাইয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শেষ হয়। তখন জেলা মিট করা হলে এই সমস্যা হত না। মগরাহাট দু’নম্বর ব্লকের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইন্সটিটিউশনের ছাত্রী আনসারি খাতুন গতবার জেলায় ১৫০০ এবং ৩০০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার স্পোর্টসে নাম দিতে গেলে স্কুল থেকে বলা হয়, আউটগোয়িং ছাত্রী বলে আমার নাম নেওয়া যাবে না। এতদিন প্র্যাকটিস করার পরে মিটে নামতে না পেরে খারাপ লাগছে। এই প্রতিযোগিতায় না নামলে তো রাজ্য বা জাতীয় মিটেও নামা যাবে না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE