ভাঙচুর: নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে। ছবি: নির্মল বসু
ভোট শেষ। তবে হুমকি, মারামারি বন্ধ হওয়ার লক্ষণ নেই। বেশিরভাগ গণ্ডগোল বাধছে তৃণমূল এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের যাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের লোকজনের মধ্যে।
স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের ৭৪ ও ৭৫ নম্বর বুথে সিপিএম-কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবুল হোসেন গাজির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু নির্দলের আম প্রতীকে প্রার্থী হন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের রেহেনা খাতুন গাজি। তাঁর স্বামী আনিসুর আম্বিয়া আবার পাশের বুথ ৭৩ নম্বরে তৃণমূলের জোড়াফুল প্রতীকে লড়ছেন। এ নিয়ে প্রচারে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে। শুরু হয় গোষ্ঠীকোন্দল। সোমবার ভোট চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির ফলে ভোট ভেস্তে যায়। হামলায় জখম হন রবিউল মোল্লা, মান্নান মোল্লা, খালেক গাজি, আনিসুর ঢালি-সহ অনেকে। বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট মারা হচ্ছে, এই অভিযোগে কেউ কেউ ভোট বাক্সে জল ঢেলে দেয়। তারই জেরে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যায় দুই গোষ্ঠীর পক্ষে মিছিল বেরোয়।
স্বরূপনগরের দত্তপাড়া এবং গুণরাজপুরে গণ্ডগোলের জেরে ভোট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখানে গ্রামসভায় তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সহিদুল গাজি। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিক্ষুব্ধ নির্দলের আব্দুল রউফ গাজি। এ দিন সকালে গুণরাজপুর গ্রামে প্রচারের সময়ে এক গোষ্ঠীর লোকজন অন্যপক্ষের কয়েকজনের বাড়ি এবং গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। বসিরহাটের কাঁকড়া মির্জানগর স্টেশনের কাছে ১৬৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নির্দল প্রার্থী হয়েছেন তাহিরা বেগম। তাঁরও প্রতীক আম। তাহিরাকে সমর্থন করছে সিপিএম-কংগ্রেস।
এখানে তৃণমূলের প্রার্থী নার্গিস পারভিন। তৃণমূল এবং বিক্ষুব্ধদের মধ্যে নির্বাচনের আগে থেকেই গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল। ভোটের দিন বিকেলে বুথের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। দুষ্কৃতীদের ভয়ে বুথ কেন্দ্রের দরজা বন্ধ করে দেন ভোটকর্মীরা। দরজা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ব্যালট বাক্স লুঠ করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরা বেগমের বাড়িতে হামলা চলে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy