প্রতীকী ছবি।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকে শুরু হয়েছিল যে গোলমাল, ডায়মন্ড হারবার মহকুমায় তা অব্যাহত থাকল ভোটের দিনও। কোথাও বোমা মেরে, কোথাও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বিরোধীদের বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের একতারা পঞ্চায়েতে দু’টি বুথে বিরোধী এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরদ্ধে। একই অবস্থা ওই বিধানসভার শেরপুর ও হরিহরপুর পঞ্চায়েতেও। অভিযোগ, ওই এলাকার মরাপাই লক্ষ্মীকান্তপুর পঞ্চায়েতে সব ক’টি বুথে বিরোধীদের এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি। সকলকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের লোকজন ছাপ্পা ভোট দিয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের।
বিজেপির অভিযোগ, মগরাহাট পূর্ব ধামুয়া দক্ষিণ পঞ্চায়েতে কালা পাহাড়চক ও কামদেবপুর বুথে বিজেপি কর্মী ও প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওই এলাকার সিপিএম নেতা চন্দন সাহা বলেন, ‘‘বিডিও ও ওসিকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু ফোন ধরেননি তাঁরা। এসএমএস করলে তারও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।’’
মন্দিরবাজারের গাববেড়িয়া নিশাপুর বিরোধীদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ওই এলাকায় আধুনা পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামে বুথে লাইনে দাঁড়ানো মানুষকে লক্ষ করা বোমা ছোড়া হয়। এক যুবকের পায়ে বোমা লাগে। ওই এলাকায় শাসকদল এবং তৃণমূল সমর্থিত নির্দলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেন, ‘‘নির্দলের কর্মীদের বোমায় আমাদের সমর্থক জখম হয়েছেন।’’ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় সকাল ১২টা নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। কয়েক ঘণ্টা ওই এলাকায় ভোট বন্ধ ছিল।
মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁ পাড়া এবং গোকর্ণি পঞ্চায়েতের বুথে বিরোধীদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘‘বুথে মাত্র দু’তিন জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে। কোন সাহসে আমরা ভোট দিতে যাব? ভয়েই যেতে পারলাম না।’’ এক প্রবীণ বাসিন্দার কথায়, ‘‘এ ভাবে ভোটের কোনও মানে হয় না।’’
তৃণমূল অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার তৃণমূলের সহ সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিক্ষিপ্ত কিছু ছোট ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। বিরোধীরা মিথ্যা কথা বলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy