একটা সময়ে গোটা রাজ্যে একটামাত্র বিধানসভা ছিল তাদের দখলে। বসিরহাট মহকুমার সেই আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির পায়ের তলায় কিছুটা জমি পেতে থাকে সে সময় থেকেই। পরে সেই আসন হাতছা়ড়া হয়েছে। কিন্তু এ বার পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে বসিরহাট মহকুমায় বিজেপি ফের জমি খুঁজে পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর এবং বাদুড়িয়া এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি আসন পেয়েছে বিজেপি। তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনও তারা দখল করেছে। যা কপালে ভাঁজ ফেলছে শাসক শিবিবরে। বিজেপির দাবি, যদি সন্ত্রাসমুক্ত ভোট হত, তা ফল হত অন্য রকম। অনেক আসনে তারা মনোনয়নই দাখিল করতে পারেনি। ভোটেও কারচুপি হয়েছে বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। ২০১৩ সালে বসিরহাট মহকুমার ১৪৬০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে মাত্র ১০-১২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এ বার বিজেপি পঞ্চায়েতে ৬২টি আসন পেয়েছে। ২৬৬টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৩টি আসন তারা দখল করেছে। বিজেপি সমর্থিত নির্দলের দখলে গিয়েছে আরও ১০টি আসন। সব মিলিয়ে বসিরহাট মহকুমায় তৃণমূলের পরেই দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। স্বরূপনগরে ২৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বাদুড়িয়ায় ১৭টি, বসিরহাট ১ ব্লকে ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন পেয়েছে বিজেপি।
বিজেপির বসিরহাট জেলার সভাপতি হাজারিলাল সরকার বলেন, ‘‘শাসক দলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা সাধ্য মতো প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু শাসক দল আমাদের প্রথমে প্রাথী দিতে দিল না। আবার পরে ভোট করতে দিল না।’’ তিনি মনে করেন, তার মধ্যেও এতগুলি আসন পাওয়ায় তাঁদের মনোবল বেড়ে গিয়েছে। হাজারিলাল জানান, সন্দেশখালি ১ ২ এবং হাসনাবাদে যেখানে তাঁদের শক্তি বেশি, সেখানেই প্রার্থিপদ দাখিল করতে দেওয়া হয়নি।
বসিরহাট লোকসভার তৃণমূলের আহ্বায়ক ফিরোজ কামাল ওরফে বাবু মাস্টার অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপিকে আমরা কোনও গুরুত্বই দিতে রাজি নই। দু’চারটে যা পদ্মফুল ফুটতে দেখা যাচ্ছে, সময় হলে তা-ও শুকিয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy