প্রতীকী ছবি।
হাতে আর বেশি সময় নেই। মিটিং-মিছিলে দু’তরফেই ভিড় জমছে নজরে পড়ার মতো। ‘গেমপ্ল্যান’ তৈরি। কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের দখল হাতে রাখতে অমিত শাহ থেকে জেপি নড্ডা সেই গেমপ্ল্যান তৈরিতে ব্যস্ত। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। তৃণমূলের ঝুলি ছিল ফাঁকা। সেই অবস্থা পাল্টাতে শিলিগুড়িতে ক্যাম্প বসিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর। কোচবিহারের নেতাদের বোঝানো হয়েছে বিজেপিকে আটকাতে কি স্ট্র্যাটেজি হবে। দুর্গাপুজোর আগে দু’পক্ষই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। মঙ্গলবার কোচবিহারে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দক্ষিণ দিনাজপুরের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ছিলেন।
দলীয় সূত্রে খবর, ১৭ অক্টোবর শিলিগুড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আসার কথা ছিল। আপাতত ওই কর্মসূচি স্থগিত হয়। সেখানে ১৯ অক্টোবর জেপি নড্ডার কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে। অমিত শাহ সেই মিটিংয়ে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। লোকসভা ভোটের ঠিক পরে তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে পড়ে উত্তরবঙ্গে। রাজবংশী ও তফশিলি সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ বিজেপি’র দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে তৃণমূলের সমীক্ষায় উঠে আসে। সেই ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে একাধিক কর্মসূচি করে তৃণমূল। কোচবিহারে পার্থপ্রতিম রায়ের মতো তরুণ রাজবংশী নেতাকে দলের জেলা সভাপতি করা হয়। শাসকদল অনেকটাই তাদের সংগঠন মজবুত করে। নতুন করে ফের তাদের মিটিং-মিছিলে লোক সমাগমও নজরে পড়তে শুরু করে। এই অবস্থায় বিজেপি নতুন করে ফের ছক কষতে শুরু করেছে।
মনে করা হচ্ছে, উত্তরবঙ্গ সফরে এসে আগামী ছ’মাস ঠিক কি ভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করবেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজ্যের শাসকদল কোথায় কোথায় শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করেছে, সেখানে কী ভাবে বিজেপি কর্মীরা কাজ করবেন, সেই পথও বাতলে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতৃত্বের আসার ঠিক আগে শিলিগুড়ি পৌঁছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক এবং পিকে। তাঁরাও দলের নেতৃত্বদের নিয়ে একই ভাবে গেমপ্ল্যান তৈরি করেন। অবশ্য কেউই তা নিয়ে খুব বেশি মুখ খুলতে চান না।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম বলেন, “বিজেপি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলছিল। মানুষ সব বুঝতে পারছেন। তাই এমনিতেই বিজেপি ভাঙছে।” বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূল প্রতিদিন মানুষের ক্ষতি করছে। মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy