হুগলি নদীতে ডুবে যাওয়া বার্জ। নিজস্ব চিত্র।
গন্তব্য ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থেকে নামখানা। কিন্তু মাঝদরিয়ায় স্টিয়ারিংয়ের চেন কেটে বিপত্তি। ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই বার্জ স্রোতে ভেসে এল হুগলি নদীর পূর্ব মেদিনীপুরের অংশে। গেঁওখালিতে একটি বয়াতে ধাক্কাও মারে ছোট ওই জলযান। তার পর কুঁকড়াহাটির অদূরে হরিবল্লভপুরে ডুবে যায়।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটেয় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে সকালে বার্জ পুরো ডোবার আগেই পুলিশ, মৎস্যজীবী ও স্থানীয়দের তৎপরতায় পাইলট-সহ ১১ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। বার্জের পাইলট মলয় বাগ বলেন, ‘‘চেন কেটে প্রথমে বিপত্তি বাধে। পরে লোহার বয়ায় ইঞ্জিন কেবিনের ধাক্কা লেগে ফুটো হয়। জল ঢুকে আর ইঞ্জিন চলেনি।’’ বড় বিপদ এড়াতে বার্জটিকে নদীর চরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু তার আগেই মাঝনদীতে আটকে যায় বার্জটি। হরিবল্লভপুরের পঞ্চায়েত সদস্য মমতাজ মল্লিক বলেন, ‘‘জলযানটি ডুবছে দেখেই মৎস্যজীবীদের নিয়ে ভুটভুটিতে রওনা দিই। পরে মহিষাদল ও সুতাহাটা থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধারে হাত লাগায়।’’ কলকাতা বন্দরের মেরিন বিভাগের আধিকারিক জে জে বিশ্বাস বলেন, ‘‘বার্জটি দ্রুত সরানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।’’
কিছু দিন আগেই বঙ্গোপসাগরে ডুবে গিয়েছিল পণ্যবাহী জাহাজ। আগুন লেগে বিপত্তি বাধে সে বার। প্রাণহানি না হলেও, জলপথে পণ্য পরিবহণে ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। তবে বার্জডুবিতে জাহাজ চলাচলে তেমন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ম্যানেজার অমলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘জাহাজের সমস্যা হবে না। কিন্তু ডুবে যাওয়া বার্জ দু’-একদিনের মধ্যে সরানো না গেলে মৎস্যজীবীদের নৌকাগুলি সমস্যায় পড়বে।’’
উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না দূষণের আশঙ্কাও। হুগলি নদীর জলে ফ্লাই অ্যাশ মিশে মাছের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা মৎস্যজীবীদের। দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা দেবাশিস শ্যামল বলেন, ‘‘হুগলি নদীর ওই অংশে ইলিশের ঝাঁক আসে। অন্য মাছও জালে পড়ে। ফলে, ভয় থাকছেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy