পাটখেত থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল এক মাছ ব্যবসায়ীর। রবিবার ভোরে বাদুড়িয়ার বাজিতপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম অজয় মণ্ডল (৩৭)।
এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। দেহের পাশ থেকে এ দিন একটি সাইকেল, কয়েক হাজার টাকা, রক্ত মাখা একটি দা এবং মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু অজয়ের মোবাইলের খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা গোবিন্দ মণ্ডল এবং সুজাতা। তাঁদের দুই ছেলে অজয় এবং দেবকুমার। মাছ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মণ্ডল পরিবার। প্রতিদিন ভোরে হাড়োয়া অথবা ন্যাজাটে যেতেন অজয়রা। সেখান থেকে মাছ কিনে বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাট বাজারে বিক্রি করেন তাঁরা। এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ অজয় হাঁড়ি ও ঝুঁড়ি নিয়ে সাইকেলে বের হন। পরে বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একটি কালভার্টের কাছে পাটখেতের পাশে তাঁর দেহ মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, ভোর থেকে ওই কালভার্টের উপরে চারজন অপরিচিতকে বসে মদ খেতে দেখা গিয়েছে। তাদের সঙ্গে দু’টি মোটরবাইক ছিল।
এলাকায় ‘ভাল ছেলে’ বলেই পরিচিত ছিলেন অজয়। গোবিন্দ বলেন, ‘‘অজয় বিজেপি করত। তবে ওর কোনও শত্রু ছিল না। কেন ওকে খুন করা হল, বলতে পারব না।’’
এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য নারায়ণ মণ্ডল বলেন, ‘‘মিষ্টি স্বভাবের ছেলে ছিলেন অজয়। আমরা চাই, যারা ওঁকে খুন করেছে, পুলিশ অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করুক।’’ বিজেপির বাদুড়িয়ার মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ‘‘অজয় আমাদের দলের কর্মী ছিলেন। তাঁর খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করছি।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, অজয় কখন কোন রাস্তা দিয়ে কোথায় যেতেন, তা জানত দুষ্কৃতীরা। আগে থেকে কালভার্টের উপরে বসেছিল। দা দিয়ে কোপানোর পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে তবেই এলাকা ছাড়ে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে মনে করছে পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy