প্রতীকী ছবি।
ফের বোমা বিতর্ক ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। রবিবার মাটি খুঁড়তে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হলেন এক মজুর। ওই জমির নীচে তাজা বোমা রাখা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত দু’সপ্তাহ ধরেই বাজিকাণ্ডে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নৈহাটি। প্রথমে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, পরে বাজেয়াপ্ত বাজির মশলায় বিস্ফোরণ। সেই ক্ষোভ এখনও কমেনি। তারই মধ্যে জমি খুঁড়তে গিয়ে বোমার ফেটে জখমের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মন্দিরপাড়া বাজারের বাসিন্দা মুন্না ঠাকুর তাঁর জমি পরিষ্কার করার জন্য উত্তম বৈদ্য নামে এক যুবককে নিয়োগ করেন। উত্তমের বাড়ি কাঁচরাপাড়ার কাঁপা এলাকায়। মাটি খুঁড়ছিলেন উত্তম। একটি জায়গায় মাটি কোপানের সময়ে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে গুরুতর জখম হন উত্তম। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
খবর পাওয়ার পরে বীজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা জানায় জমির নীচে তাজা বোমা পোঁতা ছিল। কোদালের আঘাতে সেটি ফেটে যায়। এই ঘটনা আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বীজপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জমির মালিক জানান, তাঁর জমিতে কেউ বোমা পুঁতে রেখেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ওই জমিতে আরও বোমা পোঁতা নেই তো? পুলিশ আপাতত ওই জমিতে খোঁড়াখুড়ি করতে নিষেধ করেছে।
আতঙ্ক কাটেনি নৈহাটির গৌরীপুরে। গত বৃহস্পতিবার গঙ্গার ধারে বাজেয়াপ্ত করা বাজি তৈরির রাসায়নিক নষ্ট করছিল সিআইডি-র ‘বম্ব ডিজপোজ়াল স্কোয়াড’। সেই সময় ৩০০ কেজি রাসায়নিকের বিস্ফোরণ হয়। তাতে গৌরীপুর তো বটেই, গঙ্গার ওপারের চুঁচুড়াতেও প্রচুর বাড়িতে চিড় ধরে। নষ্ট করতে গিয়ে কেন বিস্ফোরণ ঘটল, তার তীব্রতাই বা এমন কেন ছিল, তা জানতে ফরেন্সিক তদন্ত চলছে। তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। এলাকার বাসিন্দারা চিন্তিত অন্য কারণে। তাঁদের আশঙ্কা, ফের ওই এলাকায় বাজির মশলা নষ্ট করা হবে না তো?
চিন্তা পুলিশেরও রয়েছে। আরও এক গাড়ি বাজি মজুত রয়েছে নৈহাটি থানায়। সেগুলিও নষ্ট করার কথা ছিল গঙ্গার পাড়েই। কিন্তু ওই ঘটনার পরে তা তা আর করা যাচ্ছে না। পুলিশের চিন্তা সেগুলি কখন, কীভাবে নষ্ট করা হবে। থানাতে দীর্ঘ সময় সেগুলি রাখাও ঝুঁকি হয়ে যাবে। ফলে সেগুলিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে পুলিশ।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘ওগুলি তো নষ্ট করতেই হবে। তবে কবে করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। কোথায় করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে ওগুলো সবই তৈরি বাজি। ফলে সেগুলি নষ্ট করাটা তেমন ঝুঁকির কাজ নয়। যদিও পুলিশ কোনও ঝুঁকি
নেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy