শব্দবাজি ফাটাতে গিয়ে একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হল বছর এগারোর এক বালকের। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার কাশীপুরের মধ্যপাড়ায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বালকের নাম নয়ন বিশ্বাস। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে নয়নের মা ঘরের ভিতরে ছিলেন। নয়নের বাবা মারা গিয়েছেন। নয়ন বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ফাটাচ্ছিল। একটি শব্দবাজি ধরানোর পরেও ফাটছিল না। সে সামনে গিয়ে দেখতে যায়। এমন সময় বাজিটি ফাটে। বাজির বারুদ ও আগুন তার একটি চোখে এসে লাগে।
এই ঘটনার পর নয়নকে প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি নিয়ে আসা হয় নয়নকে। রাতে সে ঘন ঘন বমি করতে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ফের হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে বারাসত জেলা হাসপাতাল হয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরেছে নয়ন।
তার মা মনিকা বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন চোখের শিরার ক্ষতি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা গরিব। কোথা থেকে চিকিৎসার খরচ আসবে জানি না। আমি চাই, শব্দবাজি ফাটানো সম্পূর্ণ বন্ধ করা হোক।’’
অন্য দিকে, বাজি ফাটাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাবড়া থানার পশ্চিম কামারথুবা ও কুমড়া কাশীপুরে আহত হল দুই বালক। দু’জনকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতদের নাম নিত্যানন্দ পাল ও অসিত মণ্ডল। নিত্যানন্দের বয়স দশ বছর। ঘটনার দিন সন্ধেবেলায় সে চরকি জ্বালাচ্ছিল। আগুন ছিটকে তার ঘাড়, গলা-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। পশ্চিম কামারথুবার ন’বছরের অসিত পুরনো চকলেট বোম থেকে বারুদ বের করে তাতে আগুন ধরাচ্ছিল। আগুন ছিটকে এসে তার মুখ ঝলসে যায়। তার পরিবারের লোকজন জানান, এলাকাতেই বাজি বিক্রি হচ্ছে। সেখান থেকেই সে কিনেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy