Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পতাকা লাগানোর প্রতিবাদে সংঘর্ষ, জখম ছয়

স্থানীয় সূত্রের খবর, বিলকান্দা এলাকায় এ দিন সকালে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বেরিয়েছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০১:৩১
Share: Save:

তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত ঘোলার বিলকান্দা এলাকা। রবিবার সকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোট ছ’জন জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় র‌্যাফ। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বিলকান্দা এলাকায় এ দিন সকালে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে বেরিয়েছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। রাস্তার ধারের কয়েকটি বাড়িতে তাঁরা অবাধে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, অটো দাঁড় করিয়ে জোর করে বিজেপির পতাকা লাগানো‌ হচ্ছিল তাতে।

একটি বাড়িতে পতাকা লাগানোর সময়ে প্রতিবাদ করেন বাড়ির মালিক এবং স্থানীয়েরা। অভিযোগ, বিজেপির লোকেরা সেই পতাকা খুলে নিতে রাজি হননি। সেই সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। যা গড়ায় সংঘর্ষে। তখন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন। এর ফলে গোলমাল ঘুরে যায় বিজেপি বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে। জোর করে পতাকা লাগানোর প্রতিবাদে বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশের অনুরোধে তা তুলে নেন তাঁরা।

তখনকার মত‌ো গোলমাল থামলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা ছড়ায় এলাকার অন্যত্র। অভিযোগ, বিজেপি নেতারা গ্রামীণ এলাকায় বিক্ষোভ দেখান। তার নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বনাথ ধর। সেখানেও তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায়। বিশ্বনাথের অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের মীর মইনুদ্দিন দলবল নিয়ে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান। মারধর করা হয় বাড়ির সদস্যদের। তাঁর বৃদ্ধা মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে পরিবারের চার জন জখম হন।

তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ, বিজেপির সমর্থকেরা তাঁদের উপর চড়াও হন। ওই ঘটনায় তাঁদেরও দু’জন জখম হয়েছেন। দুপুরের দিকে গোলমাল বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয় র‌্যাফ। বিকেলের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, বিশ্বনাথ আগে সিপিএম করতেন। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একই কথা বলেন, ব্যারাকপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সোমা দাস। বিশ্বনাথ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘ওই নামের কেউ বিজেপি করেন বলে কখনও শুনিনি। বরং তিনি সিপিএম করেন বলেই সবাই জানেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।’’ বিশ্বনাথও তৃণমূলের লোকেদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Violence Injury TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE