ঝাড়ু-মারা: নিজস্ব চিত্র
‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার টাকি হাসপাতাল চত্বরে সাফাই অভিযান চালালেন বিএসএফ জওয়ানেরা। এ দিনই মশা মারতে কর্মসূচি শুরু করেছে টাকি পুরসভা।
এ দিন পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় কাউন্সিলর এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে জঞ্জাল সাফাইয়ে নেমে পড়েন। নিকাশি নালা, দোকান এবং বাড়ির পাশে চুন-ব্লিচিং ছড়ানো হয়। মশা মারার তেলও স্প্রে করা হয়। টাকি পুর এলাকায় এখনও সে ভাবে জ্বরের দাপট শুরু না হলেও আশেপাশের পঞ্চায়েত এলাকা বা হাসনাবাদ ইতিমধ্যেই জ্বরে ভুগে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত আরও অনেকে।
সোমনাথবাবু বলেন, ‘‘হাসনাবাদ ব্লকের মধ্যে পড়ে টাকি হাসপাতাল। ইতিমধ্যে ওই হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হয়েছেন। তা ছাড়া, হাসনাবাদের বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। যে কোনও মুহূর্তে টাকিতেও মশার উৎপাতের আশঙ্কা আছে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই পুরসভার তরফে এই উদ্যোগ।’’
পাশাপাশি এ দিন সকাল থেকে হিঙ্গলগঞ্জ সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানদেরও ঝাঁটা-কোদাল হাতে এলাকা পরিষ্কারের কাজ করতে দেখা যায়। হিঙ্গলগঞ্জে বাজার চৌকির ১৬০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ১৫-২০ জনের একটি দল হাসপাতাল চত্বরে থাকা নোংরা পরিষ্কারের পরে দা দিয়ে আগাছা কেটে পরিষ্কার করে। জমে থাকা জঞ্জাল অন্যত্র ফেলা হয়।
নাগরিক সমিতির সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘যে ভাবে চারি দিকে জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে তাতে হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করে মানুষের উপকার করলেন জওয়ানেরা।’’ তবে স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, শুধু হাসপাতাল চত্বর বা আশেপাশের এলাকা সাফাই করলেই চলবে না। পুর এলাকার আনাচ-কানাচে নিয়মিত এই অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy