নিরাপত্তার কড়াকড়িতে পুজোর ডালা কিনতে পারছেন না সাধারণ তীর্থযাত্রীরা, এমনই অভিযোগ উঠেছে গঙ্গাসাগরের ডালা-মালা ব্যবসায়ীদের তরফে। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধা থেকে সাময়িক ভাবে ‘ডালা আর্কেড’ বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। পূজো দিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন বহু দর্শনার্থী।
আরও সুষ্ঠু ভাবে মেলা পরিচালনার জন্য কপিল মুনির আশ্রম-লাগোয়া এলাকা থেকে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকেই থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ডালা-মালার দোকানদারদের। প্রায় ৩৬ কোটি টাকা খরচ করে আশ্রম থেকে একটু দূরে তৈরি হয়েছে প্রকল্প। আপাতত ৯৩ জন ব্যবসায়ী জায়গা পেয়েছেন সেখানে। গঙ্গাসাগর ডালা-মালা ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মানস প্রামাণিক বলেন, ‘‘এতটাই কড়াকড়ি করা হচ্ছে যে দর্শনার্থীরা পুজোর ডালা কেনার জন্য আর্কেডের দিকে আসতে চাইলেও পারছেন না। আর্কেডের সামনে বাঁশের ব্যারিকেড থাকায়, অনেক দূরে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। কেউ ৬০ টাকা, কেউ ৩০ টাকার ব্যবসা করেছেন সারা দিনে। অনেকের একটা টাকাও কেনাবেচা হয়নি।’’
পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মেলা চত্বরে ডালা আর্কেডের সামনে যাতে অযথা ভিড় না হয়, সে জন্য টানা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে একটুখানি রাস্তা খোলা রয়েছে।
গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েত প্রধান হরিপদ মণ্ডলের কথায়, ‘‘ব্যারিকেড নিরাপত্তার জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকে বুঝতে পারছেন না যে ওখানে ডালা আর্কেড রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখছি কী করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy