ভোগান্তি: জমা জলে। — ছবি: সামসুল হুদা
একহাঁটু জলে মায়ের সঙ্গে স্কুলে যেতে গিয়ে গর্তে পড়ে চোট পেল বছর ছ’য়েকের শিশুটি। রাস্তার জমা জলে তার পোশাকটাই নষ্ট হয়ে গেল। স্কুলে যাওয়া আর হল না তার। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ক্যানিংয়ের বিভিন্ন এলাকা। চারিদিকে জমা জলে অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। কোথাও কোথাও ঘরেও ঢুকে পড়ছে জল।
এমনই অবস্থা ক্যানিংয়ের মাতলা ২ পঞ্চায়েতের আমড়াবেড়িয়া খানপাড়া, বাহিরবেনা, মিঠাখালি, দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের গার্লস স্কুলপাড়া, রামমোহন পল্লি-সহ দাঁড়িয়া, হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, জল বার করার ব্যবস্থা না থাকায় গোটা এলাকা জলমগ্ন। পুকুরের মাছ বের হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই কালভার্টগুলিতে বাঁধ দিয়ে রেখেছেন। এমনিতেই বৃষ্টির জল বেরতে পারছে না। তার উপরে পুকুর, মাঠ, বিলের জল উপচে পড়ছে। ফলে এলাকা প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, জমা জলে সাপ, পোকা-মাকড় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ, জল বের করার জন্য প্রশাসনের তরফে কোনও হেলদোল নেই। সরকারি ভাবে ত্রিপল বা চালের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক সরকার বলেন, ‘‘প্রতি বছরই বর্ষায় এই এলাকা জলমগ্ন হয়। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয় না। জমা জলে সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে বাড়ির বাইরে যেতেও ভয় পাচ্ছেন।’’ স্কুলপড়ুয়া জয়শ্রী মৃধা বলে, ‘‘বাড়ির চারিদিকে জল। স্কুলে যেতে পারছি না।’’ ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এটা ঠিক যে, কিছু লোক মাছ চাষের জন্য বাঁধ দেওয়ায় জল বেরোতে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আর ত্রাণ নিয়ে এটুকুই বলতে পারি, পর্যাপ্ত ত্রিপল না থাকায় সকলকে তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’ বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে বলেন, ‘‘বর্ষার জল ঠিক মতো বেরোতে না পারায় বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সব জায়গায় কিছু কিছু করে ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁদের চাল বা অন্যান্য জিনিসও দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy