আরমান মণ্ডল
ছ’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হল চার বছরের এক শিশুর দেহ। রবিবার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার চক এনায়েতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপুর গ্রাম থেকে। মৃত শিশুর নাম আরমান মণ্ডল। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃতের কাকার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে শিশুটির মাকে। তদন্তে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ জেনেছে, আরমানের মা-বাবা ইকবাল হোসেন মণ্ডল এবং রহিমা বিবির মধ্যে প্রতিদিন অশান্তি লেগেই থাকত। যার জেরে প্রায় দু’মাস আগে ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘর ছাড়েন রহিমা। ওই থানা এলাকারই গন্ধ বাদুলি শেখ পাড়ায় বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। এক সপ্তাহ আগে ছেলেকে নিয়ে ফের মল্লিকপুরে কাজে আসেন রহিমা। অভিযোগ, ওই দিনই কিছু ক্ষণ পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। সে সময়ে গ্রামেরই কয়েক জন বাসিন্দা ইকবাল ওরফে কালোকে ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর দেন। খবর পেয়েই প্রতিবেশীদের নিয়ে ছেলেকে খুঁজতে বেরোন ইকবাল।
এর পরেই রহিমা থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর শিশুপুত্রকে ইকবাল অপহরণ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দিন দু’য়েক আগে ইকবালকে গ্রেফতার করে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়। ইকবালের পরিবারের দাবি, রহিমা যে শিশুটিকে নিয়ে কাজে এসেছেন, তা তাঁরা জানতেন না। তাই অপহরণের অভিযোগ মিথ্যে। পুলিশের দাবি, জেরায় কোনও তথ্যও মেলেনি ইকবালের কাছ থেকে। এরই মধ্যে এ দিন সকালে দেহটি উদ্ধার হয়। এর পরেই শিশুটির কাকা সাবির মণ্ডল পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রহিমার বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, রহিমা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সে পথে ছোট্ট আরমান বাধা হয়ে গিয়েছিল। তাই রহিমা ছেলেকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ সাবিরের।
পুলিশ জানিয়েছে, রহিমার কর্মস্থলের কাছেই পানাপুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য মোমিনপুরে পাঠানো হয়েছে। রহিমাকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy