Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ, ক্ষতি রাজস্বের

সরকারি আধিকারিকেরা সোম ও মঙ্গলবার উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। মঙ্গলবারও বাণিজ্য বন্ধ ছিল।

শুনসান: ঘোজাডাঙায় সারি দিয়ে দাঁড়ানো পণ্য-বোঝাই ট্রাক। ছবি: নির্মল বসু

শুনসান: ঘোজাডাঙায় সারি দিয়ে দাঁড়ানো পণ্য-বোঝাই ট্রাক। ছবি: নির্মল বসু

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৩
Share: Save:

শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে হয়রানি এবং অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সীমান্তের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের ক্লিয়ারেন্স অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। ফলে সোমবার থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে।

ঘোজাডাঙা সীমান্তে শুল্ক দফতরের সহ কমিশনার প্রদীপকুমার জিন্না বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘোজাডাঙা সীমান্তে কিছু নিয়ম করা হয়েছে। এতে আপত্তি এজেন্ট সংগঠনের। এই সীমান্তে যাঁরা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তাঁদের বেশির ভাগ উপযুক্ত নথি নেই। এ সব নিয়ে কড়াকড়ি করতেই এজেন্টদের সমস্যা হচ্ছে। সে জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’

সরকারি আধিকারিকেরা সোম ও মঙ্গলবার উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। মঙ্গলবারও বাণিজ্য বন্ধ ছিল। পণ্য-বোঝাই বহু ট্রাক রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। পচনশীল পেঁয়াজ, আঙুর, মাছ ইত্যাদি বড় রকম ক্ষতির মুখে পড়েছে।

কয়েক হাজার শ্রমিকও সঙ্কটে পড়েছেন। বসিরহাটের মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত সমাধান না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের ইটিন্ডার ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন তিনশোর উপরে পণ্য-বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশের ভোমরায় যায়। একই ভাবে বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাক এ দেশে আসে। ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারেন্স অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অচিন্ত্যকুমার ঘোষ, সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেন, ‘‘সীমান্তে শুল্ক দফতরের অফিসার ও কর্মীদের অসহযোগিতা এবং অন্যায় দাবির প্রতিবাদে বাধ্য হয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি। অহেতুক নিয়মের বেড়াজাল তৈরি করা হয়েছে। এতে আমাদের বড় রকম ক্ষতি হচ্ছে।’’

তাঁদের অভিযোগ, ‘‘ওঁরা অনৈতিক দাবি করছেন, যা আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া, কথায় কথায় পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে।’’ শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তাঁরা প্রশাসনকেও জানিয়েছেন বলে দাবি মিহিরবাবুদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tax department Border Border Trade
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE