দুষ্কৃতীদের গুলি-বোমায় নিহত হাবরার কংগ্রেস নেতা বাপি চৌধুরীর স্ত্রী কাকলি চৌধুরী বিধানসভা ভোটের আগে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আশুতোষ কলোনি এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে একটি অনুষ্ঠানে কাকলিদেবী তৃণমূলে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা হাবরার তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, হাবরার পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কাকলিদেবী প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য ছিলেন। কাকলিদেবী বলেন, ‘‘এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম। আমার স্বামী সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কিন্তু কংগ্রেস এখন সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে। তাই কংগ্রেস ছাড়লাম।’’
গত পুরভোটে কাকলিদেবী কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। কংগ্রেস অবশ্য এই দলবদলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সমাদ্দারের দাবি, ‘‘বাপিবাবুর পরিবারের অভিযোগ ছিল তাঁকে খুনের পিছনে তৃণমূল যুক্ত ছিল। তা হলে কেন কাকলিদেবী কংগ্রেস ছেড়ে সেই দলে যোগ দিলেন সেটা উনিই ভাল বলতে পারবেন।’’
কয়েক বছর আগে হাবরার প্রফুল্লনগর এলাকায় রক্তদান শিবিরের মধ্যে ঢুকে বাপিবাবুকে তাড়া করে গুলি ও বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন এক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তখন অভিযোগ করা হয়েছিল, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই খুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy