Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ধুঁকছে সুপার স্পেশ্যালিটি, বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস

রোগীর অবস্থার অবনতি হলেই দায় এড়িয়ে রোগীকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ, দালাল চক্রের চাপে লেখা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ওষুধও।

বিক্ষোভ : বসিরহাট জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকের দতরের সামনে কংগ্রেসের প্রতিবাদ। ছবি: নির্মল বসু।

বিক্ষোভ : বসিরহাট জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকের দতরের সামনে কংগ্রেসের প্রতিবাদ। ছবি: নির্মল বসু।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:০১
Share: Save:

এক মাসের বেশি হল কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধক (র‌্যাবিস ভ্যাকসিন) নেই হাসপাতাল। চিকিৎসকের অভাব দেখা দিয়েছে। একজন আয়াকেই একাধিক রোগীর পরিচর্যা করতে হচ্ছে। রাত হলে মাত্র একজন চিকিৎসকের দেখা মেলে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলেই দায় এড়িয়ে রোগীকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ, দালাল চক্রের চাপে লেখা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ওষুধও।

সব অভিযোগই বসিরহাটে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতালটি বহু ব্যয়ে তৈরি হলেও সাধারণ মানুষ এখানে যথার্থ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন— এই অভিযোগে সোমবার হাসপাতাল চত্বরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। বিক্ষোভকারীরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে পনেরো দফা দাবি বিষয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন দেবব্রতবাবু। তিনি বলেন, ‘‘র‌্যাবিস ভ্যাকসিনে’র ইনজেকশনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবারই জানানো হয়েছে। কিন্তু মিলছে না।’’

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ কংগ্রেসের অমিত মজুমদারের নেতৃত্ব শতাধিক দলীয় সদস্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে মিছিল করে আসেন। তাঁরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হলে কী হবে, এখানে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম চিকিৎসক থাকায় পরিষেবার মান খুবই খারাপ। রাতে মাত্র একজন চিকিৎসক থাকেন।

কংগ্রেস নেতা অমিত মজুমদার, হিরন্ময় দাস বলেন, ‘‘মহকুমা জুড়ে র‌্যাবিস ভ্যাকসিন মিলছে না। হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও দালালরাজ চলছে। নানা ভাবে হেনস্থা হন রোগীর পরিজন। রোগীরাও নানা ভাবে হয়রান হন। সামান্য অসুস্থ হলেই রোগীকে কলকাতায় পাঠানো হয়।’’অবিলম্বে এ সব বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে অমিত বলেন, ‘‘আমরা হাসপাতালের বাইরেই বিক্ষোভসভা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে যানজট হতে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে আমাদের হাসপাতাল চত্বরেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে সমাবেশ করতে বলা হয়। আমরা মাইক বাজিয়ে বক্তব্য রেখেছি। তবে রোগীদের কথা ভেবে মাইক আস্তেই বাজানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Basirhat Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE