শুভেচ্ছা: নিজস্ব চিত্র
নাবালিকা বিয়ে বন্ধ হচ্ছে না কেন?
মোটরবাইক চালানোর সময়ে পুলিশের মাথায় অনেক সময়ে হেলমেট থাকে না কেন?
চেয়ারে বসে চা খাচ্ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জ থানার বড়বাবু। হঠাৎ সেখানে ঢুকে এই প্রশ্নগুলি করতে শুরু করেন কয়েক জন ছাত্রী। বড়বাবু ভাল করে উত্তর দেওয়ার আগেই অবশ্য থানা থেকে বেরিয়ে যায় ওই ছাত্রীরা। থানা ছাড়াও হাসপাতাল, পঞ্চায়েতে গিয়েও নানা প্রশ্ন করেন তারা।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে ‘কন্যাশ্রী দিশারী’ প্রকল্পের আওতায় ছাত্রীরা মাসে এক বার করে নিজের এলাকার থানা, পঞ্চায়েত, পুরসভা, ভূমি দফতর, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কাজের খোঁজখবর নেবে। তার পর তাদের দেওয়া রিপোর্ট জেলা প্রশাসনে পাঠানো হবে। রিপোর্ট নেতিবাচক হলে সংশ্লিষ্ট দফতরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
বুধবার হিঙ্গলগঞ্জ হাইস্কুল এবং মামুদপুর জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুল পিছু ১৫ জন করে ছাত্রী বেছে নেওয়া হয়। তাদের ভাগ করে পাঠানো হয় হিঙ্গলগঞ্জ থানা, হাসপাতাল, পঞ্চায়েত-সহ নানা দফতরে। তাদের মধ্যে একটি দল যায় হিঙ্গলগঞ্জ কালীবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে। রাস্তায় যাঁরা হেলমেট পরে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন তাঁদের গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। যাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল না তাঁদের মোটরবাইকে ‘সেভ ড্রাইভ, সেফ লাইফ’ স্টিকার লাগানো হয়। এ দিনই স্থানীয় হাইস্কুলে ‘কন্যাশ্রী দিশারী’ প্রকল্পের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল সহ ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। নজরদারি সেরে সেখানে গিয়ে ছাত্রীরা অভিযোগ করে, স্কুলের পথে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার্স তাদের কটূক্তি করে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তারা তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেনি বলেও অভিযোগ করে ছাত্রীরা।
বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে কেউ কেউ তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলে শুনেছি। এ বার থেকে কিন্তু ছাত্রীরা বিভিন্ন সরকারি দফতরে যাবে। পরিষেবার মান নিয়ে তারা প্রশ্নও করবে। তাদের পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy