ফাইল চিত্র
জ্বর নিয়ে এক মহিলা এসেছিলেন কুলতলি হাসপাতালে। কিন্ত তাঁকে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে রাখা যায়নি। কারণ, সেখানে আইশোলেশন ওয়ার্ড ছিল না। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বাঙুরে। কিন্ত এই সমস্যা আর হবে না বলে মনে করছেন কুলতলি ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ।
করোনা প্রতিরোধে কুলতলির জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চালু হল আইসোলেশন ওয়ার্ড। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে তাঁকে আলাদা রেখে চিকিৎসার জন্য ১৩ শয্যার এই ওয়ার্ড চালু করা হল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
কুলতলি ব্লক থেকে অনেকেই ভিন রাজ্যে বা বিদেশে কাজ করতেন। করোনা আতঙ্কে গত কয়েকদিনে তাঁদের অধিকাংশই এলাকায় ফিরেছেন। ব্লক হাসপাতালে তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। কোনও উপসর্গ থাকলে মহকুমা বা জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এলাকার কারও করোনা ধরা পড়েনি। ব্লক হাসপাতাল সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত বাইরে থেকে আসা প্রায় ১৮০০ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে হাসপাতালে।বৃহস্পতিবার জ্বর নিয়ে ওই মহিলা ব্লক হাসপাতালে আসেন। কুলতলির গড়ানকাটির বাসিন্দা ওই মহিলা বালিগঞ্জে একটি ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেখানেই থাকতেন। সম্প্রতি জ্বর হওয়ায় তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়।
কুলতলি ব্লক হাসপাতাল সূত্রের খবর, তিনি প্রথমে বাঙুর হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানে স্ক্রিনিং করিয়ে তাঁকে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কুলতলি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জ্বরের উপসর্গ পাওয়ায় তাঁকে ফের বাঙুরে রেফার করেন। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স এসে তাঁকে বাঙুরে নিয়ে যায়। অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি করায় দীর্ঘক্ষণ তাঁকে হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। এ প্রসঙ্গে বিএমওএইচ সুরজিৎ সেন বলেন, “উপসর্গ থাকলে রোগীকে যে ভাবে রাখা দরকার সেই পরিকাঠামো হাসপাতালে ছিল না। ফলে ওঁনাকে হাসপাতালে রাখা যায়নি। জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখন আমদের আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড হয়েছে। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আলাদা রেখে চিকিৎসা হবে।’’
এ দিকে বৃহস্পতিবারই কুলতলি হাসপাতালে পাঁচটি সুরক্ষা কিট এসে পৌঁছেছে। এর আগে দু’টি কিট দেওয়া হয়েছিল। বিএমওএইচ জানান, প্রয়োজনের তুলনায় সাতটি কিট পর্যাপ্ত নয়। তবে আপাতত এই দিয়েই কাজ চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy