স্যানিটাইজার বানানো হল পুলিশের তরফে। —নিজস্ব চিত্র
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে চিকিৎসকেরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার হাত পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। দেশ ও রাজ্য জুড়ে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের জেরে এখন দোকানে দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার ধুম লেগেছে। চাহিদা এতটাই বেশি যে বনগাঁর বেশিরভাগ দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার অমিল।
সমস্যা মেটাতে এ বার এগিয়ে এলেন বনগাঁ থানার পুলিশ কর্মীরা। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তাঁরা থানায় বসেই তৈরি করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বনগাঁ থানার আইসি মানস চৌধুরী বলেন, ‘‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার সামান্য যা মিলছে, তার দাম অনেক বেশি। তাই আমরা চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ইথাইল অ্যালকোহল, অ্যালোভেরা জেল, গ্লিসারিন দিয়ে স্যানিটাইজার তৈরি করছি। পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়াররা থানায় বসেই তা তৈরি করছেন।’’ এই স্যানিটাইজার পুলিশ কর্মীরা নিজেরা ব্যবহার করছেন না। বাসচালক, বাস শ্রমিক, টোটো-অটো চালক এবং যাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিলি করছেন। বনগাঁ শহরের যুবক রীতেশ সাহা, জয়দীপ রায়রাও বাড়িতে স্যানিটাইজার তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করছেন। জয়দীপ বলেন, ‘‘পরিকল্পনাটা রীতেশের মাথায় প্রথম আসে। রীতেশ প্রথম তৈরি করে। ওর কাছ থেকে আমরা শিখে এখন স্যানিটাইজার তৈরি করছি।’’ জয়দীপদের দু’টি সংগঠন আছে। তার সদস্যেরা স্যানিটাইজার তৈরি করছেন। দিন কয়েক আগে সংগঠনের তরফে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে করোনাভাইরাসের উপরে একটি আলোচনা সভারও আয়োজন
করা হয়। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠও বিভিন্ন সংগঠন, পুলিশকে দিয়ে স্যানিটাইজার তৈরি করে বিলি করবার ব্যবস্থা করছেন। বিজেপি নেতা শোভন বৈদ্য এবং আরও কয়েকজন হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে বিনামূল্যে বিলি করছেন। হাসনাবাদ থানার বাইলানি বাজারের চা বিক্রেতা গোপাল মণ্ডল টিস্যু পেপার দিয়ে মাস্ক বানিয়েছেন। শনিবার নিজের দোকানে আসা সমস্ত ক্রেতাকে তা দিয়েও দিলেন। শিখিয়ে দিলেন, কেমন ভাবে বাড়িতে অল্প খরচে মাস্ক বানানো যায়। দোকানের সামনে জল ও হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। গোপালের এই উদ্যোগে খুশি ক্রেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy