রেশন দোকানের সামনে ভিড়। ভাঙড়ে। ছবি: সামসুল হুদা
ভিড় ঠেকাতে কোথাও লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে হল পুলিশকে। কোথাও বাধল হাতাহাতি, কোথাও দোকান খুলতে দেরি হওয়ায় শুরু হল গ্রাহকদের বিক্ষোভ। লকডাউন পর্বে রেশন বিলির দ্বিতীয় দিনেও দুই ২৪ পরগনার কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়। সামাল দিতে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও হিমসিম খেতে হয়। প্রশাসন থেকে দাঁড়ানোর জন্য গণ্ডি কেটে দেওয়া হলেও বেশ কিছু জায়গায় মানা হল না সেই গণ্ডিও। গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই রেশনদ্রব্য নিলেন গ্রাহকেরা। ভিড় এড়াতে কুপনের ব্যবস্থা আগেই করা হয়েছিল। শুক্রবার থেকে রেশন দোকানগুলিতে বাড়তি কাউন্টার খুলতে বলেছে প্রশাসন।
এ দিন ভাঙড়ের পানাপুকুর গ্রামে একটি রেশন দোকানের সামনে ভোর চারটে থেকে লাইন দেন গ্রাহকেরা। ডিলার সুনীল কুমার ঘোষ দোকান খোলেন সকাল ন’টায়। সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রাহকেরা। ঘটনাস্থলে যায় কাশীপুর থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের লোকজন। তারা পরিস্থিতি সামাল দেয়। শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখা এবং রেশন দোকানের সামনে গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে কাশীপুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর জন্য দাগ কাটা হলেও অনেকেই তা মানছেন না বলে অভিযোগ। আরকেএসওয়াই গ্রাহকদের কেন টাকা দিয়ে রেশনদ্রব্য সংগ্রহ করতে হবে তা নিয়ে এ দিন একাধিক জায়গায় অশান্তি তৈরি হয়। প্রশাসনের লোকজন এসে বুঝিয়ে গ্রাহকদের শান্ত করেন।
ক্যানিং মহকুমার রেশন দোকানগুলিতে মালপত্র নেওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। টিন দিয়ে নালার মতো তৈরি করে রেশনের মালপত্র সেই নালার মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাগে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কোথাও কোথাও। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা রেশনের চাল, গম, আটা ফড়েদের বিক্রি করে দিচ্ছে। সেগুলি বেশি দামে ফের বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুজনকে আটক করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। একই অভিযোগে ভাঙড় বাজার থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রায় এক কুইন্টাল চাল-আটা উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে জীবনতলা থানার পুলিশ প্রায় কুড়ি বস্তা আটা, গম উদ্ধার করেছে ফড়েদের কাছ থেকে।
হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি,হাসনাবাদ ব্লকের যে সব রেশন দোকানে গ্রাহকের সংখ্যা বেশি সেখানে বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরাও ছিলেন। বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকাতে কুপন হাতে রেশন দোকানের সামনে উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। বাগদা, গাইঘাটা, গোপালনগর এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রেশন বিলি শুরু হয়। সর্বত্রই সকাল থেকে জমায়েত শুরু হয়ে যায়। বাগদার কয়েকটি এলাকায় পুলিশ কর্মীদের লাঠি উচিয়ে ভিড় পাতলা করতে হয়। বনগাঁতে এদিনও রেশন বিলি শুরু হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy