ই-পাস।
লকডাউনের ফলে গাড়ি চলাচল, পণ্য আদান প্রদান প্রায় বন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আদানপ্রদানকারী সংস্থা থেকে শুরু করে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষ। পরিষেবা দিতে রাস্তায় বেরিয়ে অনেক সময় পুলিশি হেনস্থার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এই সমস্যা কাটাতে এবার ই-পাসের ব্যবস্থা করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
জেলার সর্বস্তরে জরুরি পরিষেবা ও জরুরি কাজের জন্য যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। আর সেই কারণে মহকুমা ভিত্তিক বিভিন্ন সরকারি আধিকারিককে এ বিষয়ে নজরদারির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকের তরফে। জেলা প্রশাসন আগেই করোনা মোকাবিলার জন্য জেলা ও মহকুমা স্তরে কন্ট্রোল রুম খুলেছে। সেখান থেকেই জেলার করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের উপর নজরদারি করছে প্রশাসন। পাশাপাশি এ বার জেলার আভ্যন্তরীণ ও কলকাতার সঙ্গে জেলার জরুরি পরিষেবার জন্য যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এই ই-পাসের ব্যবস্থা চালু করল জেলা প্রশাসন।
শনিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন এ বিষয়ে আলিপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মূলত হোয়াটসঅ্যাপেই মিলবে এই ই-পাস। জরুরি পরিবহণের জন্য যে ব্যক্তি আবেদন করবেন, তিনি হোয়াটসঅ্যাপেই আবেদন জানাতে পারবেন। নিজের পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় বিবরণ দিয়ে মহকুমা স্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে সেই আবেদন খতিয়ে দেখে আধিকারিকরা হোয়াটসঅ্যাপেই অনুমতি বা ই-পাস দিয়ে দেবেন আবেদনকারীরা। ফলে বিনা বাধায় আবেদনকারী তার জরুরি প্রয়োজন মিটিয়ে আসতে পারবেন।
লকডাউন ঘোষণার পরেও কিছু মানুষ যেমন অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরচ্ছেন, তেমনি কিছু মানুষ জরুরি প্রয়োজনেও বেরোচ্ছেন। যাতে তাঁদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে কোনও অসুবিধায় না পড়তে হয়, তাই এই ই-পাস করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “জরুরি দরকারে মানুষ যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন সেই কারণেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনাকে মোকাবিলা করার জন্য সামাজিক দূরত্ব খুব প্রয়োজন। তাই অযথা বাড়ির বাইরে বের হবেন না। শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে, সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ির বাইরে বের হন।’’
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy