বাজারের ব্যাগ রেখে দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে। বসিরহাটে। ছবি: নির্মল বসু
ভিড় হল, তবে মোটের উপর দিনের শেষে নিয়ন্ত্রণেই রইল তা।
বিনামূল্যে রেশন বিলির প্রথম দিন উত্তর ২৪ পরগনায় মোটের উপরে ছবিটা ছিল এমনই। শুরুর দিকে ভিড়ের চোটে তাল কেটেছিল লকডাউনের। কোথাও কোথাও বিশৃঙ্খলাও হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ শেষ পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণে আনে। বেশিরভাগ জায়গায় কুপন বিলি হওয়ার জন্যও ভিড় নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে বিভিন্ন রেশন দোকানে এ দিন দেখা গেল, ভিড় এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেশন দোকানের সামনে গোল গোল দাগ কেটে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেশন দ্রব্য বিলিও করা হয়েছে দূরত্ব মেনে। সন্দেশখালি ও হাসনাবাদ ব্লকের বিভিন্ন রেশন দোকানে চাল দেওয়ার জন্য টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। টিনের এক প্রান্তে চাল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে, অন্য প্রান্তে গ্রাহক বস্তা পেতে তা সংগ্রহ করছেন। বেশ কিছ এলাকায় রেশন ডিলারেরা গ্রাহকদের আগে থেকে খবর দিয়ে সকাল এবং বিকেলের কুপন বিলি করেছেন। ফলে সব গ্রাহক এক সঙ্গে দোকানে এসে পৌঁছননি। তবে হাসনাবাদ ব্লকের মহিষপুকুর গ্রামের এক রেশনের দোকানে সামনে এ দিন দুপুরে লম্বা লাইন চোখে পড়ল। সংশ্লিষ্ট ডিলার জানান, তাঁর গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ন’হাজার। দূরত্ব বজায় রেখে গ্রাহকদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হলেও ভিড়ের চোটে সে অনুরোধ অনেকেই কানে তুলছেন না।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এ দিন বিভিন্ন রেশন দোকানে গ্রাহকদের লম্বা লাইন পড়ে। এখানে প্রথম দিকে কুপন বিলির ব্যবস্থা ছিল না। ফলে নৈহাটি এবং হালিশহরের কয়েকটি দোকানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তবে পুলিশ তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে। পরের দিকে কয়েকটি জায়গায় দিন অনুযায়ী কুপন বিলি করা হয়। তাতে ভিড় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বেলার দিকে রোদ বাড়তে কয়েকটি জায়গায় লাইনে ব্যাগ রেখে গ্রাহকদের গাছের ছায়ায় ঘন হয়ে গল্পগুজব করতে দেখা গেল।
বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকাতেও গ্রাহকদের হাতে কুপন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে কিছু রেশন দোকানের সামনে গ্রাহকদের ভিড় উপছে পড়ে। পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ভিড় সামলে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেন। কিছু দোকানে শাসক দলের নেতা-কর্মীদেরও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও আবার হাজার সতর্কতা উপেক্ষা করে গ্রাহকেরা ঘেঁষাঘেষি করেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
বনগাঁয় বুধবার রেশনদ্রব্য বিলি শুরু হয়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে তা শুরু হবে। রেশনদ্রব্য পৌঁছতে দেরি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত। অনেকেই সকালে রেশন দোকানে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy