Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এটিএম প্রতারণায় টাকা খোয়া গেল দম্পতির

হারান ও টুম্পার সন্তান সায়ন জন্মের পর থেকেই প্রতিবন্ধী। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে কর্মসূ্ত্রে আন্দামানে যান। সেখান থেকে গত ১৮ই এপ্রিল ফেরেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের।  কিন্তু এটিএম প্রতারণার শিকার হওয়ার কারণে ছেলের চিকিৎসাও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

 ছেলের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। নিজস্ব চিত্র

ছেলের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। নিজস্ব চিত্র

প্রসেনজিৎ সাহা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০০:৩১
Share: Save:

এটিএম প্রতারণার ফলে লক্ষাধিক টাকা খোয়া গেল এক দুঃস্থ পরিবারের। এর জেরে ক্যানিং থানার পাতিখালি গ্রামের বাসিন্দা টুম্পা রায় ও হারানচন্দ্র রায়ের বছর দশেকের প্রতিবন্ধী সন্তানের চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ ওই দম্পতির।

১৯ এপ্রিল এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য টুম্পা ক্যানিংয়ের তালদি বাজারে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে যান। বছর দশেকের প্রতিবন্ধী ছেলে সায়নের ওষুধ কেনার জন্যই টাকা তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। ১২ হাজার টাকা তোলার জন্য এটিএমের লাইনে দাঁড়ান। সেখানে থাকা এক যুবকের সাহায্য নেন ওই মহিলা। অভিযোগ, ওই যুবকই সুযোগ মতো তাঁর এটিএম কার্ডটি বদলে নেয়। পরের চার-পাঁচ দিনে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীর জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় প্রায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই ব্যাঙ্কে জানান টুম্পারা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করতে বলেন। ২৪ এপ্রিল ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন টুম্পার স্বামী হারানচন্দ্র।

হারান ও টুম্পার সন্তান সায়ন জন্মের পর থেকেই প্রতিবন্ধী। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে কর্মসূ্ত্রে আন্দামানে যান। সেখান থেকে গত ১৮ই এপ্রিল ফেরেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু এটিএম প্রতারণার শিকার হওয়ার কারণে ছেলের চিকিৎসাও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

টুম্পা বলেন, ‘‘আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকাই তুলে নেওয়া হয়েছে। জানি না এ বার ছেলের চিকিৎসা কী ভাবে করাব।’’ হারানের কথায়, “ছেলের চিকিৎসার জন্য স্বামী-স্ত্রী মিলে আন্দামানে রাজমিস্ত্রির কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। সবই খোয়া গেল।’’

বদলানো এটিএম কার্ডে ‘সিদ্দিক হোসেন’ নাম থাকলেও সেটি আদতে ওই প্রতারক যুবকের কার্ড কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তালদির ওই ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার টুলটুল মজুমদার বলেন, ‘‘ঘটনার কথা জেনেছি। পুলিশ তদন্ত করলে সব রকম সাহায্য আমরা করব। প্রয়োজনে সিসি টিভি ফুটেজও পুলিশকে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ATM ATM Fraud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE