হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপরে তৈরি হওয়া সেতু
হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপরে তৈরি হওয়া সেতুর একটি বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নামখানা ব্লকের হাতানিয়া-দোহানিয়া নদীর উপরে নারায়ণপুর ও নামখানার সংযোগকারী সেতুটি বছরখানেক আগে তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ ২২৬ কোটি টাকায় প্রায় বছর দু’য়েক ধরে কাজ চলার পরে ২০১৯ সালে জানুয়ারি মাসে কাজ শেষ হয়। অ্যাপ্রোচ রোড-সহ সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা সেতুটি উদ্বোধন হয় ওই বছর মার্চ মাসে। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করার পাশাপাশি সেতু কাছে গিয়ে ফিতে কেটে উদ্বোধন করেছিলেন পূর্ত দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।
এক বছর না কাটতে কাটতেই মাস দু’য়েক আগে নামখানার দিকে নদী বাঁধ বরাবর দু’টি বিমের একটির দু’জায়গায় ফাটল ধরেছে। ওই সেতু দিয়ে গাড়ির চাপ প্রচুর। যে কোনও মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে লোকজন আসেন ওই সেতু পেরিয়ে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাস দু’য়েক আগে বিমের ফাটল দু’টি নজরে আসে। পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়।
আতঙ্ক: এই পরিস্থিতি বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে স্থানীয় মানুষের। নিজস্ব চিত্র
নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ পাত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি লোকমুখে শোনার পরে আমি নিজে গিয়ে দেখেছি। বিপজ্জনক ফাটলের পাশাপাশি নামখানা বাজারের সমস্ত জল ওই বিমের পাশ দিয়ে নদীতে নেমে যাওয়ায় বিমের নীচে গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। আমরা শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’
এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমাদের কেউ জানায়নি। আমি দ্রুত খোঁজ নিয়ে বিভাগীয় দফতরকে জানাব।’’ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সড়কের ১ নম্বর ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক সেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy