বাঁ দিকে, বাগদায় দুলাল বর। ডান দিকে, পাথরপ্রতিমায় কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, ওমপ্রকাশ মিশ্র। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক ও শান্তশ্রী মজুমদার।
অবশেষে স্বস্তি বাগদার জোট-শিবিরে।
জোট প্রার্থী তথা এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দুলাল বরের সমর্থনে বৃহস্পতিবার বিকেলে মিছিল করল কংগ্রেস-সিপিএম-ফরওয়ার্ড ব্লক। হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে মিছিল বেরিয়ে গোটা এলাকা ঘুরে ফের ওই মাঠেই শেষ হয়। সামনের গাড়িতে ছিলেন দুলালবাবু। দুলালবাবু ছাড়াও মিছিলে ছিলেন সিপিএম নেতা দুলাল মণ্ডল, কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণপদ চন্দ, আমজাদ হোসেন সর্দার ও ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। মিছিলে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস কর্মীর হাতে লাল পতাকা। আবার উল্টো ছবিও দেখা গিয়েছে বাম শিবিরে। বাম কর্মী সমর্থকেরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘‘বন্দে মাতরম। আবার কংগ্রেস শিবির থেকে স্লোগান উঠেছে, ‘‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’’ মিছিল শেষে মাঠে কলকাতায় উড়ালপুল ভেঙে মৃতদের স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অন্য দিকে, প্রার্থী ঘোষণার দীর্ঘদিন পরে কাকদ্বীপ মহকুমার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র পাথরপ্রতিমা ও কাকদ্বীপে জোটের মিছিলে যোগ দিলেন অসংখ্য মানুষ। পাথরপ্রতিমায় মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র, অর্ণব রায়। কাকদ্বীপে মিছিলে ছিলেন জোটের প্রার্থী রফিকউদ্দিন মোল্লা, সিপিএম নেতা মৃতেন্দু ভুঁইঞা। পাথরপ্রতিমায় প্রার্থী বদলের পরে যে নতুন করে জোটের সমর্থকেরা উৎসাহ ফিরে পেয়েছে, তার প্রমাণ এ দিন মিলল। জোটের প্রার্থী ফণিভূষণ গিরিকে সামনে রেখে প্রায় ১০ হাজার কংগ্রেস-সিপিএম সমর্থকের মিছিল হয় রামগঙ্গা থেকে গঞ্জের বাজার পর্যন্ত। কান্তিবাবু বলেন, ‘‘সম্পর্কের অতীত ভুলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। কারণ, গণতন্ত্র বাঁচানোর সময় এসেছে।’’ ওমপ্রকাশ বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের জোটকে সম্মান করি।’’ কাকদ্বীপে এসে জোটের প্রার্থী রফিক মোল্লার সঙ্গে দেখা করে যান কান্তিবাবু। সকালে ঢোলায় রোড শো-ও করেন রায়দিঘির প্রার্থী কান্তিবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy