কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায়
জ্বরে মৃত্যু হল গারুলিয়া পুর এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার। শনিবার দুপুরে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হসপাতালে। মৃতার নাম কৃষ্ণা মুখোপাধ্যায় (৪৫)। এই নিয়ে এ বছর গারুলিয়া পুর এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তিন জনের।
পরিবারের দাবি, ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁদের জানিয়েছিলেন কৃষ্ণাদেবী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরেই অন্য রোগে ভুগছিলেন। তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কৃষ্ণাদেবীর পরিবারের লোকেরা এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তবে বি এন বসু হাসপাতালের তরফে পরিবারের দাবির সমর্থনে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীদের দাবি, গারুলিয়ায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
গারুলিয়ার চার নম্বর ওয়ার্ডের নুরপাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণাদেবীর স্বামী কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তাঁদের মেয়ে শিল্পী এ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। শিল্পী জানায়, গত বুধবার বিকেলে কৃষ্ণাদেবীর জ্বর শুরু হয়। তখন বাবা বাড়িতে ছিলেন না। পরদিন সকালে সে তার মাসি, জগদ্দলের বাসিন্দা শিপ্রা আদককে ফোন করে জ্বরের কথা জানায়। শিপ্রাদেবী এ দিন জানান, সকালেই তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান বোন কৃষ্ণাকে। তাঁকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দেওয়া হয়। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তাঁর বাকি চিকিৎসা হবে বলেই জানিয়েছিলেন ডাক্তার। সে দিনই সন্ধ্যা থেকে কৃষ্ণাদেবীর শরীর আরও খারাপ হয়। এলাকার চিকিৎসকের পরামর্শে সেই রাতেই তাঁকে ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিপ্রাদেবী জানান, রক্ত পরীক্ষার পরে পরদিন সকালে তাঁদের জানানো হয়, কৃষ্ণাদেবীর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। চিকিৎসা শুরু হয়। শুক্রবার রাতে অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা ফের পরীক্ষা করে জানান, কৃষ্ণাদেবী মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত। ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিপ্রাদেবীর বাড়ির লোকেরা শুক্রবার বিকেলে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। তখন তাঁর অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। সেখানে পৌঁছনো মাত্রই রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু হয়। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দেননি কৃষ্ণাদেবী। শনিবার সকাল থেকেই তাঁর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ লেখা হয়েছে, ‘সেপসিস’। শিপ্রাদেবী বলেন, ‘‘ব্যারাকপুর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আমাদের জানিয়েছিলেন, বোনের ডেঙ্গি হয়েছিল। তারই চিকিৎসা হচ্ছিল ওখানে। মৃত্যুর কারণ কী লেখা হয়েছে, তা আমাদের বোঝার
ক্ষমতা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy