বিক্ষোভ: দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র
ঝাঁকুনির চোটে বাস থেকে রাস্তায় পড়ে মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন এক যুবক। বসিরহাটের খোলাপোতা গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার ওই যুবক সঞ্জীব খাঁড়া (৩৭) কিছুক্ষণ পরেই মারা যান। শুক্রবার মাটিয়া থানার রঘুনাথপুরে টাকি রাস্তার উপরে এই ঘটনায় জনতা মেরামতির দাবিতে অবরোধ করে।
এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ খোলাপোতা থেকে বসিরহাটগামী বাসে উঠেছিলেন পেশায় গাড়িচালক সঞ্জীব। বাসের সামনের গেটে রড ধরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রঘুনাথপুরের কাছে রাস্তার গর্তে বাসের চাকা পড়লে জোরে ঝাঁকুনি লাগে। ছিটকে পড়েন সঞ্জীব। মাথার পিছনে পাথর ঢুকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষুব্ধ জনতা বাঁশ-চেয়ার-বেঞ্চ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, বেহাল রাস্তার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণ যাচ্ছে। পাথর ছিটকে আহত হচ্ছেন পথচারী, দোকানি। অথচ, হেলদোল নেই প্রশাসনের।
পুলিশ ও টাকি রাস্তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার রাজেন্দ্রপ্রসাদ মণ্ডল ঘটনাস্থলে যান। রাজেন্দ্রপ্রসাদ বলেন, ‘‘মর্মান্তিক ঘটনা। টাকি রাস্তা মেরামতির কাজ ইতিমধ্যেই বেড়াচাঁপা থেকে শুরু হয়ে স্বরূপনগর পর্যন্ত হয়েছে। বাকি বসিরহাট কলেজ পর্যন্ত প্রথম দফার কাজ শীঘ্রই শেষ হবে। দ্বিতীয় দফায় বসিরহাট থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত ওই রাস্তা মেরামতির কাজও হবে।’’ এরপরে জনতা শান্ত হয়। তবে ততক্ষণে কেটে গিয়েছে ঘণ্টা দেড়েক। টাকি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরে বসিরহাটের খোলাপোতা থেকে ত্রিমোহনী, নেওরাদিঘি মোড় হয়ে হাসনাবাদের মধ্যে টাকি রাস্তার জায়গায় জায়গায় পিচ-পাথর উঠে বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় গাড়িতে ঝাঁকুনি হয়। ভারী গাড়ি চলাচলের ফলে রাস্তা আরও খারাপ হচ্ছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বুধবারও বসিরহাটের চৌমাথার কাছে নেওরাদিঘি মোড়ে টাকি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। পূর্ত দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বেড়াচাঁপা থেকে বসিরহাট কলেজ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতির পরে কার্পেটিংয়ের জন্য টেন্ডার ডেকে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকার কাজ শুরু হয়েছে। বসিরহাট থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy