গত বছর জ্বরে ভুগে এলাকায় মারা গিয়েছিলেন কয়েকজন। ডেঙ্গিতেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছর ভাঙড় ২ ব্লকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গিতে। বেসরকারি পরিসংখ্যানে অবশ্য মারা গিয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এ বছর অবশ্য ডেঙ্গির মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৩০ জনের মতো রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে ৬ জনের এনএস-১ পজিটিভ। ভাঙড় ১ ব্লকেও ১৫ জনের রক্তে এনএস-১ পজিটিভ ধরা পড়েছে। তবে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এঁদের মধ্যে প্রায় সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
গত বছর দু’টি ব্লক এলাকাতেই বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হন। ভাঙড় ২ ব্লকের কাশীপুর, ভুমরু, পূর্ব কাঁঠালিয়া, কাঁটাডাঙ্গা এলাকায় ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। ভাঙড় ১ ব্লকের মরিচা, ফুলবাড়ি, জাগুলগাছি, বাগানাইট-সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় বহু মানুষের জ্বর ও ডেঙ্গি ধরা পড়লেও মৃত্যুর কোনও খবর ছিল না। এ বছর অবশ্য তৎপর প্রশাসন। কিছু দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা গিয়ে ডেঙ্গি মোকাবিলায় মশা মারার কামান দাগছেন। আবর্জনা পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে। সচেতন করা হচ্ছে বিভিন্ন স্কুলকে। বিভিন্ন বাজার, মোড়ে মাইকে প্রচারে বলা হচ্ছে— কোথাও জল জমতে না দেবেন না। জ্বর হলে কী করণীয়। ডেঙ্গির মোকাবিলায় কী করণীয় তা জানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য পুকুরে গাপ্পি মাছ চাষ করা হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কয়েকজনের এনএস-১ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তবে তাঁরা এখন সুস্থ। মৃত্যুর কোনও খবর নেই। তা ছাড়া, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এলাকায় যাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy