Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
টনক নড়ল যুবকের মৃত্যুর পরে

মশা মারতে দাগছে কামান

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিরঞ্জিতের মৃত্যুর পরে হিঙ্গলগঞ্জের ৮ নম্বর সান্ডেলেরবিল ও তার আশেপাশের গ্রামে ব্লিচিং ছড়ানো এবং ধোঁয়া দেওয়ার কাজ শুরু হল। কাটা হল রাস্তার পাশের আগাছা।

রাস্তার পাশে আগাছা সাফাই হিঙ্গলগঞ্জে। ছবি: নির্মল বসু

রাস্তার পাশে আগাছা সাফাই হিঙ্গলগঞ্জে। ছবি: নির্মল বসু

নিজস্ব সংবাদদাতা 
হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:৪০
Share: Save:

দেরিতে হলেও টনক নড়ল প্রশাসনের। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিরঞ্জিতের মৃত্যুর পরে হিঙ্গলগঞ্জের ৮ নম্বর সান্ডেলেরবিল ও তার আশেপাশের গ্রামে ব্লিচিং ছড়ানো এবং ধোঁয়া দেওয়ার কাজ শুরু হল। কাটা হল রাস্তার পাশের আগাছা।
রবিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয় জ্বরে আক্রান্ত চিরঞ্জিত সরকারকে। কলকাতার আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, চিরঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। যদিও সে কথা মানতে নারাজ ব্লক প্রশাসন। তবে কারণ যা-ই হোক, মৃত্যুর পরে নড়েচড়ে বসতে দেখা গিয়েছে প্রশাসনকে।
সোমবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে মশা মারার ধোঁয়া ছড়ানোর কাজ। সন্ধ্যায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি, স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, বিডিও সৌম্য ঘোষ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদীপ্ত মণ্ডল।
স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার অভাব আছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের মানুষজন। ইদ্রিশ বলেন, ‘‘যত দূর জানতে পেরেছি, ডেঙ্গির কারণে নয়, অতিরিক্ত জ্বরে ভুগে চিরঞ্জিতের মৃত্যু হয়েছে। তবে যে ভাবেই হোক না কেন, সব মৃত্যুই দুঃখজনক। আমরা মৃতের পরিবারের পাশে আছি।’’
ব্লক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক ধরে হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন-লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ৪ নম্বর এবং ৮ নম্বর সান্ডেলেরবিল গ্রাম ও হিঙ্গলগঞ্জে জ্বরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ডেঙ্গি ছড়িয়েছে।
জ্বরে পড়েছিলেন চিরঞ্জিত ও তাঁর দাদা প্রসেনজিৎ। ভাই মারা গিয়েছে। দাদার কথায়, ‘‘কপাল ভাল, তাই আমি খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠতে পেরেছি। গ্রামে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা থাকলে ভাইকে অকালে মরতে হত না।’’
গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক স্বাস্থ্য দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের তরফে গ্রামে মশা মারার ধোঁয়া, ব্লিচিং, তেল এবং চুন ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে।’’
সুন্দরবনের গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবার অভাব যে স্পষ্ট, সে কথা স্বীকার করে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদীপ বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষে আগেই ধোঁয়া, তেল, ব্লিচিং এবং চুন ছড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্ব্য শিবির করা হচ্ছিল। মৃত্যু ঘটনার পরে কাজের গতি আরও বাড়ানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Academics Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE