বসিরহাট হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্তদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র
জ্বরে মৃত্যু হল দুই মহিলার। রবিবার রাতে ও সোমবার সকালে বসিরহাটের দু’টি হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়। ওই দুই মহিলার নাম রানি মণ্ডল ও অঞ্জনা পাল। তাঁরা সংগ্রামপুরের বাসিন্দা।
মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বসিরহাটের গ্রামের মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রামে ডেঙ্গি হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার বসিরহাট ১ বিডিও সৌরভ মিত্র সংগ্রামপুর পূর্বপাড়ায় যান। একজন চিকিৎসক-সহ শিবির বসানো হয় বকুলতলা স্কুলে। ব্লক মেডিক্যাল অফিসার সৌরভ বণিকও ছিলেন ওই শিবিরে। ওই গ্রামে স্বাস্থ্য শিবিরের চিকিৎসক কৌশিক বিশ্বাস জানান, জ্বর হচ্ছে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষাও করানো হচ্ছে। সৌরভবাবু বলেন, ‘‘জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। দু’জনের মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু তাঁদের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়নি।’’
বিডিও জানান, জ্বর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গ্রামে ব্লিচিং দেওয়া হচ্ছে। স্প্রে করা হচ্ছে। সংগ্রামপুরে জ্বর নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা শিবির চলবে।
তবে বাসিন্দাদের দাবি, বসিরহাটের গ্রামের অনেকেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার শ্যামল হালদার বলেন, ‘‘গত দু’মাসে দু’শোর উপর মানুষের জ্বর হয়েছে। রক্ত পরীক্ষায় দেড়শোর উপর রোগীর ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। প্রতিদিন ৪০-৫০ জনের উপর মানুষ জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।’’ সুপার জানান, পুরুষ বিভাগে ৪৮ এবং মহিলা বিভাগে ৩৮টি শয্যা আছে। অনেকেই হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা নিয়ে রয়েছেন।
বসিরহাট পুরসভার এক আধিকারিক শক্তিশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমার এক বোনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। হাসপাতালে এসে দেখছি শয্যা নেই। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিক শিবির করা গেলে ভাল হত।’’
সংগ্রামপুরের বাসিন্দা আবুতালেব গাজি, মামুদা বিবির কথায়, ‘‘গ্রামে প্রায় একশো মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। তাঁদের বেশির ভাগের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে না। হাজার হাজার টাকা খরচ করে বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।’’
কিন্তু এ দিন বিডিও গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন যে, ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষা হাসপাতালেই হবে। যদি কোনও কারণে তা না হয়। তাহলে অন্য ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy