হাতে-চারা: রক্ত দিয়ে পেয়েছেন দাতারা। নিজস্ব চিত্র
স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে ফল-ফুল গাছের চারা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন রক্তদাতারা।
ইদানীং উপঢৌকনের ঢল নামে বেশির ভাগ রক্তদান শিবিরে। রক্তদানের মূল লক্ষ্যের সঙ্গে যার বিস্তর ফারাক বলে মনে করেন রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্টরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপঢৌকন দিয়ে লোক টানতে আগ্রহী বহু ক্লাব-সংগঠন।
মঙ্গলবার অবশ্য রক্তদাতাদের চারা বিলি করেছেন অল বেঙ্গল স্টিল ফার্নিচার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটি। পরিবেশ সচেতনতায় বাড়ানোর কথা ভেবেই গাছ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
তবে সঙ্গে রক্তদাতাদের দেওয়া হয়েছে একটি করে ছাতা। এ-ও তো এক ধরনের উপঢৌকনই হল। গাছ বিলি করে রক্তদানের উদ্যোগে তা কি এক ফোঁটা চোনা হল না?
উদ্যোক্তাদের অবশ্য যুক্তি, বৃষ্টির দিনে মানুষ এসেছেন রক্ত দিতে। তাঁদের বাড়ি ফেরার সুবিধা করে দিতেই ছাতা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। রক্তদান শিবিরে যে ধরনের দামী দামী উপহার দেওয়া হয়, তার তুলনায় এ নেহাতই সামান্য।
এ দিন বসিরহাটের টাউনহল মাঠে মঞ্চ করে রক্তদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ৫২ জন রক্তদান করেন। মেহগনি, পলাশ, শাল, কৃষ্ণচূড়া, শিরিষ, জবা, সবেদা, আম-সহ নানাগাছের চারা দেওয়া হয়।
উদ্যোক্তাদের তরফে প্রীতিরঞ্জন মল্লিক, তাপসরঞ্জন দাসদের বক্তব্য, সম্প্রতি বাজ পড়ার সংখ্যা দিকে দিকে বাড়ছে। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, দূষণ এর অন্যতম কারণ। দূষণের হাত থেকে বাঁচতে গাছ লাগানোর থেকে ভাল কোনও বিকল্প হয় না। সে কারণেই রক্তদানের মতো সামাজিক কর্মসূচিতে তাঁরা গাছের চারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ দিন রক্ত দিয়েছেন বসিরহাটের ভ্যাবলায় বাড়ি রঞ্জিতা দাস, চৌমাথার বাসিন্দা সহিদুল গাজি। তাঁদের কথায়, ‘‘রক্ত দিয়ে আগে অনেক দামী উপহার পেয়েছি। কিন্তু গাছের চারা পাওয়ার অভিজ্ঞতা অন্য রকম। রক্ত দেওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের জন্যও কিছু করতে পারলাম বলে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy