বোমা নিষ্ক্রিয় করতে হাজির বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। শনিবার। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
নারকেল ছাড়ালে যেমন হয়, তার চেয়ে খানিকটা বড়, বলের মতো। শিশুরা কখনও খেলার ছলে সেগুলি হাতে নিয়েছে। কখনও বা ব্যাগে ভরে বাড়িতেও নিয়ে এসেছে। পরে সেই বোমা ফেটেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এত সবের পরেও দেগঙ্গার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলছে প্রচুর বোমা। শনিবারও তিনটি ড্রামে ৬০টির মতো তাজা বোমা উদ্ধার হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে পুলিশ-প্রশাসনের।
দিন কয়েক আগেই দেগঙ্গার কালিয়ানি বিল সংলগ্ন একটি বাগানবাড়িতে কুল পাড়তে গিয়ে বলের মতো কিছু পড়ে থাকতে দেখে কয়েকটি বালক। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশকর্মীরা গিয়ে দু’টি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ৫০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেন। সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করতে আসতে হয় সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াডকে। শনিবার ফের ওই বাগানবাড়িতেই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, কয়েকটি জায়গায় মাটি খোঁড়া হয়েছে। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে তিনটি জায়গায় মাটি সরিয়ে দেখে, তলায় গর্ত করে বড় বড় প্লাস্টিকের ড্রাম বসানো। সেগুলির মধ্যে রয়েছে বড় বড় বেশি কিছু বোমা। এ দিনও সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করতে আসে বম্ব স্কোয়াড। এক-একটি বোমা জলের মধ্যে চুবিয়ে নিষ্ক্রিয়করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বোমা পাওয়া গেলেও হুঁশ ফেরেনি পুলিশের। পরিত্যক্ত বাগানবাড়িটির গেটে তালা লাগানো বা নজরদারির ব্যবস্থা হয়নি। ফলে ওই বাড়িটি হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের আখড়া। কাউকে ধরা তো দূরের কথা, এত বোমা কোথা থেকে কারা নিয়ে আসছে, সে সবও জানতে পারছে না পুলিশ।
রবিউল ইসলাম নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘যে রাস্তা দিয়ে আমরা রোজ যাতায়াত করি, তার পাশেই ওই বাগানবাড়িতে ডেরা বেঁধেছে দুষ্কৃতীরা।’’ তবে দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, কারা বোমা রেখেছে, সেই খোঁজে তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy