ভাঙন: ফলতার নদীপাড়ে। নিজস্ব চিত্র
বছর কয়েক আগেও প্রায় ৪০০ মিটার চওড়া পিকনিক স্পটে লোকের ভিড় থিক থিক করত। কচিকাঁচাদের হুল্লোড় দেখা যেত। কিন্তু এখন সে সব অতীত।
ফলতার হুগলি নদীর ভাঙনের ফলে তলিয়ে যাচ্ছে পিকনিক স্পটগুলি। বিষয়টি একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ফলতা ব্লক ও পঞ্চায়েতের বেলেশ্বর গ্রামের পাশে হুগলি নদীর চরে দূর দূরান্ত থেকে পিকনিক করতে আসেন পর্যটকেরা। শীতের মরসুমে বেশি ভিড় হয়। তা ছাড়া কলকাতা থেকে কাছাকাছি হওয়ায় ছুটি পেলেই অনেকেই দল বেঁধে চলে আসেন এখানে। নদীর পাশে কয়েকটি বিলাস বহুল হোটেলও রয়েছে। অনেকেই এসে ওই হোটেলগুলিতে থাকেন। শুধু তাই নয়, গড়ে উঠেছে ছোট ছোট ব্যবসাও। যা এই পর্যটনের উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু যে ভাবে নদী বাঁধ ভেঙে এগিয়ে আসছে তাতে চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জু নস্কর ভাঙনের কথা স্বীকার করেই বলেন, ‘‘ওই বাঁধ মেরামতির মতো টাকা আমাদের তহবিলে নেই। বাঁধ তৈরির জন্য একাধিকবার জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। কোনও উত্তর আসেনি।’’ এমনকী সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা ভাঙন দেখে গিয়েছেন বলে মঞ্জুদেবীর দাবি।
যে ভাবে নদী এগিয়ে আসছে তাতে আর বছর খানেকের মধ্যে ওই চর তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, পর্যটকেরা আসেন দেখে এখানে অনেক দোকান গড়ে উঠেছে। কিন্তু এই পিকনিক স্পট যদি নষ্ট হয়ে যায় তা হলে সমস্যায় পড়বে এখানকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের কিছু করা উচিত। না হলে এখানকার মানুষ বিপদে পড়বেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy