Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিপদ মাথায় নিয়েই পারাপার করতে হয়

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। আর শৌচাগার না থাকায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে মহিলাদের বেশি সমস্যা হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৩৮
Share: Save:

লঞ্চ থেকে ওঠানামা করার জন্য রয়েছে একটি সরু সিঁড়ি। তার পাশ থেকে ধস নেমে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। যেখানে যাত্রিবাহী লঞ্চ উল্টে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

তবু বিপদ মাথায় নিয়েই যাত্রীদের ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের নুরপুর ঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। হুগলি নদীর একপারে নুরপুর ঘাট। আর একদিকে হাওড়া জেলার গাদিয়াড়া ঘাট। এই দুই জেলার মানুষই এ পার- ও পারের জন্য লঞ্চের উপরে নির্ভরশীল। এই পথেই মানুষ তাড়াতাড়ি যাতায়াত করতে পারেন। তা ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশ মানুষ দুই জেলার সংযোগ হিসাবে নুরপুর ও গাদিয়াড়া ঘাট ব্যবহার করেন। তা সত্ত্বেও এই হাল। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবারের বিডিও সঞ্জীব সরকার বলেন, ‘‘আমি নতুন এসেছি বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

বহু বছর ধরে গাদিয়াড়া ও নুরপুরে ফেরি সার্ভিস চলছে। বছর কয়েক আগে গাদিয়াড়ায় ভাসমান জেটি নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু নুরপুর ঘাটে তাও হয়নি। নুরপুর ঘাটে সিঁড়ি ভেঙে লঞ্চে ওঠানাম করতে হয়। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে রাত পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করে। সারা দিনে বহু মানুষ নিত্য পারাপার হন। বাসিন্দারা জানান, নুরপুর ঘাটের দু’ধারে জলের ঢেউয়ের তোড়ে অনেকটা ধস নেমেছে। ঘাটে লঞ্চ লাগাতে গিয়ে ধসে আটকে লঞ্চ কাত হয়ে যাচ্ছে। দিন কয়েক আগেও একটি যাত্রীবোঝাই লঞ্চ আটকে গিয়েছিল। তাতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিল। প্রায় ঘণ্টা কয়েক ধরে অনেক কষ্টে তাঁদের উদ্ধার করতে পেরেছিলেন স্থানীয় মানুষ। যাত্রাদের অভিযোগ, তা ছাড়া ঘাটের কাছে কোনও যাত্রী শেড নেই। শৌচাগার বা পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। আর শৌচাগার না থাকায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে মহিলাদের বেশি সমস্যা হয়।

হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ দফতরের অধীনে চলে লঞ্চ পারাপার। ওই দফতরের গাদিয়াড়া ইউনিটের আধিকারিক উত্তম রায়চৌধুরীর অভিযোগ, বাঁধে ধস নামায় লঞ্চ লাগাতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। যে কোনও দিন লঞ্চ উল্টে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বাঁধের ধস মেরামতির এবং ভাসমান জেটির জন্য ডায়মন্ড হারবার বিধায়ককে জানানো হয়েছে। এমনকী, ব্লক প্রশাসনকেও একাধিকবার জানানো হয়েছে। তবু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। ওই পরিবহণকারী লঞ্চের সারেঙ আহমেদ আলি বলেন, ‘‘জোয়ারের সময়ে ধসের অংশ জলের নীচে ডুবে থাকায় তা দেখা যায় না। ফলে ঘাটে লঞ্চ লাগাতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে।’’ ডায়মন্ড হারবারে বিধায়ক দীপক হালদার বলেন, ‘‘জমির সমস্যার জন্য ভাসমান জেটি এবং বাকি সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Vessel ফেরি River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE