তখনও পুড়ছে বাড়ি। হাবড়ায়। ছবি: সুজিত দুয়ারি
ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হল বসতবাড়ি ও জামা কাপড়ের কারখানা।
বুধবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টায় ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার ফুলতলা সালতিয়া এলাকায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই গোটা বাড়ি ও কারখানা ভস্মীভূত হয়ে যায়। বাড়ি ও কারখানাটি ছিল টিনের। গোটা ঘটনায় সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ওই পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকাশ দাস ও পরিতোষ দাস নামে দুই ভাই ওই এলাকারই বাসিন্দা। বছর তিনেক আগে বাড়িতেই জামা কাপড় সেলাইয়ের কারখানা তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন তাঁরা। দমদম-দুর্গানগর এলাকা থেকে মহাজনদের কাছ থেকে কাটা কাপড় নিয়ে এসে প্রকাশরা নিজেদের কারখানায় জামা কাপড় তৈরি করেন। ওই কাজের জন্য তাঁরা শ্রমিকও রেখেছিলেন। জামা কাপড় তৈরি হয়ে গেলে মহাজনদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হয়। টিনের তৈরি বসতবাড়ির সঙ্গেই প্রকাশদের কারখানা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকাশ ও পরিতোষ তাঁদের মা জবারানির সঙ্গে থাকেন। বুধবার সন্ধ্যায় দুই ভাই বাড়ি ছিলেন না। জবারানি গিয়েছিলেন বাড়ির কাছের একটি কালী মণ্ডপে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময়, প্রতিবেশী এক মহিলা দেখেন, কারখানা থেকে আগুন বের হচ্ছে। তিনি চিৎকার করে সকলকে ডাকেন। লোকজন এসে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এক ব্যক্তি কারখানায় জল ঢালতে গিয়ে বিদ্যুতের ঝটকা খেয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। লোকজন তখন আর কাছে যাওয়ার সাহস পাননি। দূর থেকেই তাঁরা জল ঢেলে আগুন নেভানো শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আধঘণ্টা পর দমকল এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে সব পুড়ে যায়।
দমকল সূত্রের খবর, ঘরের আলমারি টিভি আসবাবপত্র জামাকাপড়, গয়না, বাসনপত্র-সহ সবই পুড়ে গিয়েছে। কারখানায় থাকা ৫টি দামি মেশিন, ও প্রচুর কাটা জামা কাপড় পুড়ে গিয়েছে। প্রকাশ বলেন, ‘‘বাড়িতে নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকা ছিল সেটাও পুড়ে গিয়েছে।’’ জবারানি বলেন, ‘‘আমাদের আর কোনও জামাকাপড় পর্ষন্ত নেই।’’
দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy