প্রতীকী ছবি।
মাছ ধরতে সকালে পুকুরে জাল ফেলেছিলেন জেলেরা। তাতেই আটকে যায় ভারী একটা কিছু। সকলে মিলে টেনে তুললে দেখা যায়, জালে আটকে এক যুবকের দেহ! বৃহস্পতিবার সকালে আগরপাড়ার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম সবুজ পালিত (৩৯)। তিনি মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের শিক্ষক। তবে এটি নিছকই দুর্ঘটনা না কি আত্মহত্যা, কিংবা এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও ওই শিক্ষকের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে আগরপাড়ার তারাপুকুরে জেলেদের জালে আটকে উঠে আসে সবুজের দেহ। ওই পুকুরের পাশেই তাঁর পিসি মায়া মজুমদারের বাড়ি। মায়াদেবী জানান, বুধবার রাতে তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন সবুজ। কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে যান। মায়াদেবী বলেন, ‘‘সবুজ জানাল, বেলঘরিয়ার ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দিয়ে মুর্শিদাবাদে চলে যাচ্ছে। তাই কিছু জিনিসপত্র আমার কাছে রেখে যাবে বলে জানাতে এসেছিল। আমি চা খেতে বললাম। কিন্তু ও ঘুরে আসছি বলে বেরিয়ে যায়।’’ তিনি আরও জানান, অনেক ক্ষণ পরেও সবুজ না ফেরায় তাঁকে ফোন করতে গেলে দেখা যায় যে, সেটি বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় কয়েক জন পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই রাতে সবুজবাবুকে ওই পুকুরপাড়ে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আগরপাড়ার দেবায়ন এলাকায় স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে থাকতেন সবুজ। আগে একটি সংবাদপত্রে কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে স্কুলে পড়ানোর চাকরি পেয়ে মুর্শিদাবাদে যান। তাঁর স্ত্রী সন্তোষপুরের একটি স্কুলের শিক্ষিকা। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অনেক দিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। বিবাদের জেরেই এক মাস আগে বেলঘরিয়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে একা থাকতে শুরু করেন সবুজবাবু। সপ্তাহান্তে মুর্শিদাবাদ থেকে বেলঘরিয়ার বাড়িতে আসতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy