জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বাগদার পারমাদনে হল বনমহোৎসব। সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হয়। ছিল গাছের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা সভা। জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিতাই সাহা বলেন, ‘‘জেলার মোট আয়তনের তুলনায় গাছ থাকা উচিত ৩৩ শতাংশ। কিছু এই জেলায় তা আছে মাত্র ০.৯ শতাংশ। কী ভাবে গাছের সংখ্যা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
বন দফতরের আধিকারিকেরা জানান, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কথা মাথায় রেখে এবং পরিবেশের ভারমাস্য বজায় রাখতে গাছের সংখ্যা বাড়ানো খুবই দরকার। বাসস্থান বা অনুন্নয়নের উন্নয়নের স্বার্থে গাছ কেটে বনভূমি নষ্ট করা হচ্ছে বলে তাঁদের মত। গাছ কমে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ যে বাড়ছে তা বলাইবাহুল্য। গাছের অভাবে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে শ্বাসকষ্ট, চোখের সমস্যা-সহ আরও নানা রোগবালাইয়ের শিক্ষার হচ্ছেন মানুষ। সেই সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলার ফলেও দূষণের মাত্রা সহনক্ষমতার থেকে বেশি হচ্ছে।
কিন্তু এই সমস্যার মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করছে বন দফতর?
নিতাইবাবু জানান, বৃক্ষরোপণকেই হাতিয়ার করা হচ্ছে। ১৪-২০ জুলাই অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। জেলার মানুষের মধ্যে ২ লক্ষ চারা বিনা পয়সায় বিতরণ করা হচ্ছে। যাঁদের চারা দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের ঠিকানা-যোগাযোগের নম্বর রেখে দেওয়া হচ্ছে। বন দফতরের পক্ষে পরে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, ওই চারা কী অবস্থায় আছে। জেলার মোট ৬টি নার্সারি থেকে চারা মিলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলা বন দফতরের পক্ষ থেকেও ৮০ হাজার চারা লাগানোর কাজ চলছে।
সুন্দরবন এলাকার ভূমিক্ষয় রোধের পাশাপাশি জনসংযোগ বাড়াতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে বেছে নিয়েছে জেলা পুলিশ। বুধবার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পার হাসনাবাদে ইছামতী নদীর চরে ম্যানগ্রোভ চারা পোঁতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy