মনোরম: তবু এই ঘাটেই চলে নেশাভাঙ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
শহরকে সাজাতে আগেই গঙ্গার ঘাটগুলি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। হালিশহর রানি রাসমনি, সাধক রামপ্রসাদের শহর। স্থাপত্যের নমুনাও প্রচুর। গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন বেশ কিছু মন্দিরও আছে। বহু পর্যটক এখানে আসেন। গত দু’এক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘাট সংস্কারও হয়েছে। তবে বদলায়নি ঘাটের চিত্র। সংস্কারের আগেও এগুলি ছিল দুষ্কৃতীদের আখড়া। এখনও ঘাটের বাঁধানো সিঁড়িতে এলইডি আলোর বৃত্তের মধ্যেই নিয়মিত নেশায় মশগুল হয় স্কুল পড়ুয়ার দল, বাসিন্দাদের অভিযোগ এমনটাই।
বাঁধা ঘাটে নিয়মিত স্নান করতে আসেন প্রমথেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। বৃদ্ধের অভিযোগ, ‘‘সন্তানসম এরা। চোখের সামনে এ ভাবে বখে যেতে দেখে চুপ করে থাকতে পারি না। আবার বেশি কিছু বলাও যায় না।’’ সিদ্ধেশ্বরী ঘাট এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রাচীন ঘাটগুলিতে বসে নাতি-নাতনিদের বয়সী ছোটদের নেশা করতে দেখছি। সন্ধ্যাবেলা লজ্জায় ও দিকে যেতে পারি না।’’
প্রবীণদের কয়েকজন হালিশহরের পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের নজরে বিষয়টি আনার পরে তৎপর হন তিনি। অংশুমানবাবু বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যেও এমন ঘটনা ঘটা বাঞ্ছনীয় নয়। পুলিশকে বলেছি, নিয়মিত নজর রাখতে। যদি এমন ঘটে, তবে কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’
এক সময়ের ‘হাবেলিশহর’ যা অধুনা হালিশহর। এখানকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেকটাই। এক সময়ে অপরাধীদের আখড়া ছিল এই শহর। পরে শহরকে ঢেলে সাজার জন্য উদ্যোগী হয় পুরপ্রশাসন। নজর পড়ে পর্যটন দফতরেরও। খোদ মুখ্যমন্ত্রীই সাধক রামপ্রসাদের ভিটে এবং গঙ্গাবক্ষে সবুজ দ্বীপ তৈরি করা ও রোপওয়ে চালানোর বিষয়ে খোঁজ নিয়েছিলেন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy