প্রতীকী ছবি
প্রায় তিন মাস আগে, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ক্যানিং স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়। পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্সরা এখানে আছেন বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সময়ে চালু হলেও প্রথম দু’মাসে এখানে সে ভাবে করোনার চিকিৎসা হয়নি। কিন্তু গত কয়েক দিনে মহকুমায় সংক্রমণ বাড়ায় এই হাসপাতালে পুরোদমে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও, আপাতত সে সব মিটিয়ে মহকুমার মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে এই হাসপাতাল।
আপাতত হাসপাতালে ৫১টি শয্যা রয়েছে। সিসিইউর প্রতিটি শয্যায় চলছে নলবাহিত অক্সিজেন সবরাহের কাজ। বর্তমানে প্রায় ৪০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। দু’জন আছেন ভেন্টিলেশনে।
সিসিইউর চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সিসিইউর চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্যানিং কোভিড হাসপাতালের তরফে রোগীর পরিবারের জন্য একটি ফোন নম্বরও চালু করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খোঁজখবর নেওয়া ও প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যাবে ওই নম্বরে।
শুক্রবার পর্যন্ত ক্যানিং মহকুমার চারটি ব্লকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪২ জন। এর মধ্যে ১৩৩ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ১০১ জন এখনও অসুস্থ রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের রাখার জন্য ক্যানিং ২ ব্লকে একটি সেফ হোমও তৈরি হয়েছে। সেখানে ৫০টি শয্যা রয়েছে। এ ছাড়াও, বেশ কিছু রোগীকে চিকিৎসকেরা বাড়িতে আইশোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কোভিড হাসপাতাল থেকে মানুষকে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy