ক্ষতি: পুড়েছে বাড়ি।ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।
প্রথম বিয়ে গোপন করে এক তরুণীকে বিয়ে করেছিল যুবক। জানাজানির পরে অশান্তি শুরু হয়। অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয় যুবকের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার হয় সে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ফিরে আসে বাপের বাড়িতে। সেই বাড়িতেই আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে ফিরে না পাওয়ার আক্রোশেই যুবক এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ মেয়েটির বাড়ির লোকের।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চটকাবেড়িয়া শেখপাড়ায়। স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় তিন ঘণ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। তবে আগুন লাগানোর অভিযোগ মানতে চায়নি শাহ আলম শেখ নামে ওই যুবক। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চটকাবেড়িয়া গ্রামের কিশোরী বছর চারেক আগে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ত সে সময়ে। এখন সাবালিকা। পরিবারের পক্ষে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সরবেড়িয়া রাজবাড়ি নলকোড়ার বাসিন্দা শাহ আলম মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। তার আগের পক্ষের স্ত্রী-সন্তান আছে।
অপহরণের অভিযোগে গ্ৰেফতার হয় আলম। সেই মামলা এখনও চলছে। তরুণীর মা বলেন, ‘‘মেয়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমাদের কাছে চলে আসে। সেই থেকে আলম একাধিকবার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। যা নিয়ে গ্ৰামে কয়েকবার সালিশি সভাও হয়।’’ মেয়ের বাবার কথায়, ‘‘মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে যেতে না দেওয়ায় মাঝে মধ্যেই হুমকি দিত জামাই। আলমের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়ে কলসুরে এক আত্মীয় বাড়িতে থাকছিলাম। মঙ্গলবার রাতে আলম আমার ঘরবাড়ি সব পুড়িয়ে দেয়।’’ অভিযোগ মানতে চায়নি আলমের প্রথম পক্ষের স্ত্রী আসুরা বিবি। তাঁর দাবি, মাস চারেক ধরে পুলিশের ভয়ে স্বামী ঘরছাড়া। সে আগুন লাগাতে যাবে কেন?’’ দু’পক্ষের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy