Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

তরুণীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ধৃত স্বামী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে হাসনাবাদের তকিপুর গ্রামের সোমার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা মানিকের। তাঁদের সাত মাসের এক ছেলে আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৩৬
Share: Save:

এক তরুণীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

সোমবার বিকেলে বসিরহাটের ভ্যাবলার তাঁতিপাড়া থেকে মানিক মণ্ডল নামে ওই যুবককে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সোমা মণ্ডল (১৯)। তাঁর মা হেনা মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মানিককে ধরেছে। অভিযুক্ত শ্বশুর অর্জুন মণ্ডল, শাশুড়ি ফেলি এবং দেওর সঞ্জয়ের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে হাসনাবাদের তকিপুর গ্রামের সোমার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা মানিকের। তাঁদের সাত মাসের এক ছেলে আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকত। সোমার শ্বশুর, স্বামী তাঁকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত বলেও অভিযোগ। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভাও বসে। কিন্তু কোনও মীমাংসা হয়নি।

হেনাদেবী জানান, সোমবার সকালে ফোনে জানতে পারেন, মেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতালে গিয়ে দেখি মেয়ে মারা গিয়েছে। গায়ে তখনও কেরোসিন তেলের গন্ধ।’’

হেনা পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের সময়ে জামাই ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকার জন্য প্রায়ই মেয়েকে চাপ দিত স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি। হেনাদেবীর দাবি, তাঁর মেয়েকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দিয়ে খুন করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সোমার স্বামী বলে, ‘‘একটু জেদি স্বভাবের মেয়ে ছিল সোমা। কারণে-অকারণে উত্তেজিত হয়ে পড়ত। সাংসারিক কাজকর্ম নিয়ে সামান্য বচসার জেরে ঘরে ঢুকে গায়ে আগুন দেয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Burn to Death Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE